একটি সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, যে সমস্ত বাচ্চারা সপ্তাহে একদিন মাছ খায় তাদের ঘুম খুব ভালো হয় ও অন্যান্যদের তুলনায় বেশী বুদ্ধিমান হয়। এই সমীক্ষা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, সুন্দর ঘুম ও সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারি হওয়ার জন্য প্রতিটি শিশুকে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন মাছ খেতে হবে, যা তাদের শরীরের Omega-3 fatty acids-এর চাহিদা পূরণ করবে, যে ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুদের সুস্থ ও নিরোগ রাখতে সহায়তা করে। সমীক্ষার ফলাফল আরও বেশী বিজ্ঞানসম্মত করবার জন্য ৯ থেকে ১১ বৎসর বয়েসের ৫৪১ জন শিশু ও কিশোরদের মধ্যে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়, তাদের মধ্যে কতজন প্রায় দৈনিক মাছ খায়, কতজন একদিন মাছ খায়, কতজন মাছ একেবারেই খায় না তা জানা যায়। এছাড়া তাদের বুদ্ধিরও একটি পরীক্ষা করা হয় মৌখিক এবং লিখিত দুই রকম পদ্ধতিতে। এই সব বাচ্চাদের বাবা মায়েদেরও বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয় বাচ্চাদের ঘুম কেমন হয়, কতক্ষণ পর্যন্ত তারা ঘুমোয়, রাতে তারা ঘুম ভেঙ্গে উঠে যায় কিনা, বা দিনের বেলা ঘুমোয় কিনা ইত্যাদি বিষয়ে। আমেরিকার পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক Demography information পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় নথিভুক্ত করেন, যেমন-শিশুদের পিতা মাতার শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, বৈবাহিক সম্পর্ক, এবং সন্তান-সন্ততির বিষয়ে। সমীক্ষার তথ্যবিশ্লেষনের পর জানা যায়, যে সব বাচ্চারা মাছ খায় তারা অন্যান্য বাচ্চাদের তুলনায় ৪.৮ পয়েন্ট বেশি মানসিক ভাবে সুস্থ ও বুদ্ধিমত্তার দিক থেকেও অনেক এগিয়ে, আর যে সব বাচ্চারা কখোনো সখোনো মাছ খায় তারা ৩.৩ পয়েন্ট বেশী মানসিক শক্তি ও সুস্থতা সম্পন্ন হয়। তবে এই মাছ খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর সাথে সুস্থ ও সুন্দর ঘুমের পরিমান-ও সমানুপাতিক হারে বাড়তে থাকে। সুতরাং একথা সহজেই প্রমাণিত যে বাচ্চাদের সুস্থ সামগ্রিক বৃদ্ধির জন্য খাদ্য তালিকায় মাছের উপস্থিতি অতি-আবশ্যক।
- প্রদীপ পাল
Share your comments