দিন কয়েক আগে অনবরত কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারণে নদিয়া জেলার পাট চাষ ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদিয়া জেলার রানাঘাট ও হাঁসখালি ব্লকের পাটের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবথেকে বেশী। ঠিক কতখানি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনি ঠিক করে বলা যাচ্ছে না। জেলার কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর শ্রী রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন যে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কচি পাটের ডগা ভেঙ্গে যাওয়ায় এই চরম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তবে শুধু মাত্র পাট-ই নয়, এই জেলার বোরো চাষ, কলা ও সব্জির ক্ষতিও প্রচুর। জেলার বিভিন্ন চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চৈত্রের শেষে তারা বিপুল খরচ করে যে পাটের চারা লাগিয়েছিলো সেই কচি পাটের চারার ডগা ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন ভালো উৎপাদনের আশা অনেক কম, যেটুকু অবশিষ্ট আছে তার পরিচর্যার খরচও অনেক বেশী। কেউ কেউ ওই ডগা ভাঙ্গা কচি পাট মাঠে ফেলে রাখতে নারাজ। তারা চাইছে যত শীঘ্রই সম্ভব পাট কেটে জলের দরে বাজারে বেচে দিতে, তাতে লোকসান কিছুটা হলেও কমবে, কারণ এই পাট সংরক্ষণের কোনো উপায় নেই, ঝড়ে যে শুধু চাষের ক্ষতি হয়েছে তাও নয়, অনেকের ঘরের চালা, কাওর মাটির বাড়িও ভেঙ্গে গেছে। এই অবস্থায় কেউ কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। জেলার বিডিও, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, কৃষি উদ্যান পালন দপ্তর অবশ্য চাষিদের সাথে কথা বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করতে চাইছেন, যাতে ক্ষতিপূরণ সম্ভব কিনা সেই ব্যাপারে চাষিদের কিছুটা আশ্বস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া যায়।
- প্রদীপ পাল
Share your comments