ড্রিপ সেচ ব্যবস্থায় ফার্টিগেশন ও ওয়াটার সলিউবল বায়োসার – বর্তমানে মাটিতে রাসায়নিক সারের যথেচ্ছ ব্যবহার ও রাসায়নিক প্রয়োগ সবজি চাষে বিশেষ করে ‘ইনটেনসিভ চাষ ব্যবস্থা’ ও হাইব্রিড বীজের ব্যবহারকে ক্ষতিকর মনে হলেও এই বিপুল জন সংখ্যার চাহিদা ও চাষিদের উৎপাদন থেকে লাভের ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে। তাই বর্তমানে অনুসেচ ব্যবস্থা ধীরে ধীরে কিছু সবজি জমিতে নিয়ে আসতে হবে। এতে ভবিষ্যতে ভূগর্ভস্থ জলের অপচয় রোধ করে আর্সেনিকের সম্ভাব্য কবল থেকে পরিবেশ রক্ষা করা যাবে।
বিন্দুসেচ পদ্ধতিতে সবজি চাষে সুবিধাগুলি হল –
- রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানো যাবে আর বায়ো এন-পি-কে বা জৈব / বায়ো জলে গোলা সার বা রাসায়নিক জলে গোলা সার কেবলমাত্র প্রয়োজন মত ড্রিপের জলের মাধ্যমে ‘ফার্টিগেশন’ করে অনেক কম অথচ উপযোগী ব্যবহার হবে।
- ড্রিপ ব্যবস্থার মাধ্যমে যতটুকু জল দরকার ততটুকু ‘রুট জোনে’ পড়বে ফলে প্রভূত জলের অপচয় কমিয়ে ফলন দুগুন হবে।
- কীট বা রোগনাশক ও ড্রিপ ব্যবস্থার মাধ্যমে দেওয়া যাবে ফলে যথেচ্ছ ব্যবহার কমিয়ে প্রয়োজনমত ‘টার্গেট ওরিয়েন্টেড’ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
- আর এসব ব্যবস্থায় পরবর্তীতে শ্রম-খরচ কমিয়ে লাভ বাড়ানো যাবে অনেকটাই।
সবশেষে বলি যে, এই ড্রিপ ব্যবস্থার জন্য ইলেকট্রিসিটি বা পাম্প ব্যবস্থার বদলে উচ্চতায় পলিট্যাঙ্ক বসিয়ে তাতে জলভরে জলের চাপের সাধারন নিয়মে বিঘাখানেক জমিতে সুন্দর ‘ক্লাইমেট স্মার্ট’ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। প্রয়োজনে বর্ষার জল অপচয় না করে কোন উঁচু জায়গায় চৌবাচ্চায় জমিয়ে রেখে সেই জলের ড্রিপে ব্যবহার সবজি চাষের জন্য এক আশীর্বাদ স্বরূপ হবে। পাঠকরা লেখা ও সংশ্লিষ্ট ছবির মাধ্যমে কিছুটা বুঝতে পারবেন আর আশারাখি সবজি চাষের আগামী দিনকে পরিবেশ বান্ধব অথচ লাভজনক করে তুলুন।
ড: শুভদীপ নাথ
সহ উদ্যানপালন অধিকর্তা, উত্তর ২৪ পরগনা।
‘ক্লাইমেট স্মার্ট’ সবজি চাষ এর বিষয়ে আরো জানতে চোখ রাখুন কৃষি জাগরণ পত্রিকায় ও কৃষি জাগরণের পোর্টালে।
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)