আধুনিক কৃষি যান্ত্রিকরনের পাশাপাশি ধীরে ধীরে নিবিড় চাষ আবাদের প্রতি বেশি ধাবিত হচ্ছে। কৃষিকে যদি পরিকল্পনা মাফিক বাণিজ্যিকরণ-এর দিকে এগিয়ে দেওয়া না যায় তবে চাষী চিরকাল অবাঞ্চিত থেকেই যাবে। আমাদের দেশে সেচ ও অসেচযুক্ত এলাকাগুলোতে এখন বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের চাষ আবাদ হচ্ছে। একই জমিতে বছরের বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের(গোত্রের) চাষকে ফসলচক্র বলা হয়। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে জমির উর্বরতার মান ঠিক রেখে ভূমিক্ষয় রোধ করা ও এর পাশাপাশি জমিতে জৈবের পরিমান ঠিক রেখে রোগ ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ আগাছা দমন করা ইত্যাদি।
ফসলচক্রের কিছু নিয়ম:
১. একই ধরনের (গোত্রের) ফসল একই জমিতে পর পর চাষ করা উচিৎ নয়। উদাহরণ - ধান(তন্ডুল জাতীয়) চাষের পর ডালের চাষ(শিম্ব জাতীয়) ফসল চাষ করা আবশ্যক। এটি করলে ফসলের রোগ ব্যাধি কমবে।
২. জমিতে বরবটি, ধঞ্চে, লুশান ইত্যাদি ফসলকে সবুজ সার হিসেবে জমিতে ব্যবহার করতে হবে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে জমিতে নাইট্রোজেন ও জৈব পদার্থ বৃদ্ধি।
৩. বেশি সার প্রয়োগ করা হয় এমন চাষের পর কম সার গ্রহণকারী ফসলের চাষ করতে হবে। উদাহরণ - ধানের পর শশা, কিংবা আলুর পর কুমড়ো।
৪. যেসব ফসল ফলতে বেশি সময় নেয় তারপর কম সময় যুক্ত ফসল চাষ করতে হবে। (যেমন : ধান, সর্ষে, তিল)
৫. ঢালু জমিতে যেমন ভূমিক্ষয়কারী ফসল যেমন ভুট্টা চাষ করার পর ডাল চাষ করা উচিৎ।
৬. আদর্শ ফসলচক্রে খামারের জমি, মজুর, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি সকল কৃষি উপকরণের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা বাঞ্চনীয়।
- অমরজ্যোতি রায় (amarjyoti@krishijagran.com)