রোজ বদলাচ্ছে আকাশের মেজাজ: দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update of Bengal) সরাসরি বাজারে নয়, FPO-র মাধ্যমে বেশি দাম পেতে কী করবেন? পশ্চিমবঙ্গের ছোট শিল্প: হ্যান্ডলুম থেকে টেরাকোটা
Updated on: 27 December, 2018 4:14 PM IST

আগামীর জলসংকটের মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে কৃষিতে ধীরে ধীরে বিন্দু সেচের ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে কৃষি দপ্তরের তরফ থেকে। ফুড অ্যান্ড এগ্রি অর্গানাইজেশনের মতে আগামি ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের ১৮ মিলিয়ন মানুষ তীব্র জলসংকটে পড়বে। ভারতের মিষ্টি জলের ৮৩% ব্যবহার হয় কৃষি কাজে। কাজেই জলাভাব দেখা দিলে তার প্রভাব কৃষিকাজে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে চাষের প্রয়োজনের জল সাশ্রয় করানোর বিষয়ে কৃষি বিজ্ঞানীরা চিন্তিত। কৃষিকাজে কিভাবে কম জল ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে নানারকম পদ্ধতি অবলম্বন করা শুরু করা হয়েছে।

ধান চাষে যেমন শ্রী পদ্ধতির প্রচলন করা হয়েছে তেমনই ফল, ফুল, সবজি ও পান চাষে কৃষী বিজ্ঞানীরা ড্রিপ বা বিন্দু সেচের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করছেন। ড্রিপ পদ্ধতিতে পাইপের মাধ্যমে জল একেবারে গাছের গোড়ায় গিয়ে পড়ে। এর ফলে জল গড়িয়ে গিয়ে নষ্ট হয়না। এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট পরিমান জল একেবারে গাছের গোড়ায় গিয়ে পড়ে । আবার নির্দিষ্ট পাত্রে সার বা ওষুধ গুলে রাখলে তা পাইপের মাধ্যমে জলের সাথে গাছের গোড়ায় গিয়ে পড়ে ফলে ওষুধ বা সারের অপচয় কম হয়।

এছাড়া স্প্রিঙ্কলার  সেচের মাধ্যমে জল সারা গাছে ছিটিয়ে বা স্প্রে করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় । স্প্রিঙ্কলার  সেচের ও বিন্দু সেচের মাধ্যমে জল সঞ্চয়ের পাশাপাশি ফলন বাড়বে, আগাছা কমবে, সার ও ওষুধের খরচ কমবে, শ্রমিকের খরচ কমবে। তাছাড়া মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকরী।

- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)

English Summary: drip irrigation 2
Published on: 27 December 2018, 04:14 IST