ব্যবসায়ীক পদ্ধতিতে শাক-সব্জি, মাঠের ফসল পুরোপুরি জৈব উপায়ে না করা গেলেও সৌন্দর্য্য ও গুণমানের উপর নির্ভর ফুল ব্যসায়ীক ভাবে বা বাগানবিলাসীদের জন্যও রাসায়নিক সার ছাড়া পুরো জৈব উপায়ে চাষ সম্ভব। পরীক্ষায় দেখা গেছে কেঁচো সার ও অন্যান্য জৈব উপাদান সমৃদ্ধ মাটিতে ফুলের স্থায়ীত্ব ও গুণমান বেড়েছে।
জমিতে গাঁদা গ্ল্যাডিওলাস, রজনীগন্ধা, চন্দ্রমল্লিকা বা বোতাম ও গোলাপ ফুল ইত্যাদি চাষে প্রযুক্তি প্যাকেজের মূল কথা জৈব বস্তু সমৃদ্ধ মাটি।
- প্রথমে বিঘা প্রতি ২০ কুইন্টাল গোবর সার বা ১০ কুইন্টাল কেঁচো সারের সঙ্গে ট্রাইকোডার্মা + সিউডোমোনাস সমৃদ্ধ করে সঙ্গে ২০০ কেজি নিমখোল + ২ কেজি নিম দানা + ২ কেজি হিউমিক অ্যাসিড + ১ কেজি জৈব উৎসেচক দিয়ে গভীর চাষ দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে।
- রজনীগন্ধার ক্ষেত্রে নিমাটোড প্রতিরোধী “প্রোজ্জ্বল” জাতের চাষের সঙ্গে জমিতে জৈব সারের সঙ্গে ১ কেজি প্যাসিলোমাইসিস দিতে হবে। গোলাপে ৫০ / ৬০ কেজি ছাই দিলে ভালো।
- সকল ক্ষেত্রে গাছ / চারা বাড়বৃদ্ধির সঙ্গে নিমজাত কৃষিবিষ / নিমবীজ নির্যাস জৈব ছত্রাকনাশকদের সঙ্গে ২/৩ বার স্প্রে করে রাখুন (৭/ ১০ দিনের ) ব্যবধানে।
- গাঁদা, রজনীগন্ধার মতো ব্যবসায়ীক চাষের ফুলে ২০ / ২৫ দিনে ও ৪০/৪৫ দিনে ২০ কেজি নিম বা অন্য রোগ বিহীন খোলের সঙ্গে ৫ কেজি জৈব দানা বিঘা প্রতি চাপানে প্রয়োগ করুন।
- টবে ফুল ও পাতা বাহার চাষের জন্য জৈব মাটি মিশ্রণ প্যাকেজ -
সেট – ১ |
|
(১) দোঁয়াশ মাটি |
৩ ভাগ |
(২) গোবর বা কেঁচো সার |
১ ভাগ |
(৩) খোয় (পচানো) |
৫০-১০০ গ্রাম |
(৪) হাড় গুঁড়ো |
৫০-১০০ গ্রাম |
(৫) কাঠের ছাই |
৫০-১০০ গ্রাম |
(৬) জৈব উৎসেচক দানা |
১০ – ১৫ গ্রাম |
সেট – ২ |
|
(১) এঁটেল / পলিমাটি |
৩ ভাগ |
(২) গোবর বা কেঁচো সার |
১ ভাগ |
(৩)পাতা পচা সার |
১/২ ভাগ |
(৪) হাড় গুঁড়ো |
৫০-১০০ গ্রাম |
(৫) কাঠের ছাই |
৫০-১০০ গ্রাম |
(৬) জৈব উৎসেচক দানা |
১০ – ১৫ গ্রাম |
ফুল ও পাতাবাহার অনুযায়ী মাটি পাল্টানো ও পচা খোলের সঙ্গে কেঁচোসার দিয়ে মাঝে মধ্যে (মাসে এক বার) খোল পঁচানো জল ও জৈব দানা ১/২ চামচ দেবেন।
ড: শুভদীপ নাথ
সহ উদ্যানবিদ, উত্তর ২৪ পরগণা
জৈব চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আরো জানতে চোখ রাখুন কৃষি জাগরণ পত্রিকা ও পোর্টালে ।
- রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)