বর্তমানে হেন কোনো সবজি বাজারে নেই যার মধ্যে কোনো রাসায়নিক ব্যবহার হয় না। প্রতিটা সবজি, ফল বা খাদ্যশস্যতেই রাসায়নিক, কীটনাশক, ও ইনজেকশনের প্রয়োগ হয়েই চলেছে, এবং এইকারণেই হয়তো আমাদের শরীর ধীরে ধীরে শক্তিহীন হয়ে পড়ছে, আসলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন পুষ্টিদ্রব্যের জায়গায় প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত পরিমাণে প্রবেশ করছে। এখন এটি কৃষকদের দোষ বলবো না কোম্পানীর স্বার্থ বলবো? তবে যা হচ্ছে তা খুবই ভয়াবহ, এবং ভবিষ্যতে এটি ঘোর পরিনামের পথে এগোচ্ছে।
জৈবিক ও ইনজেকশন করা লাউ এর মধ্যে পার্থক্য কী ভাবে করবেন?
জৈবিক লাউঃ জৈবিক উপায়ে সৃষ্ট লাউ চেনা খুবই সহজ, কারণ জৈব লাউ অনেকটা লম্বা হয়। এইধরণের লাউ খুব সবুজ হয় না, বা অনেকটা মোটাও হয় না। জৈব উপায়ে তৈরি লাউ অনেক সময় ধরে টাটকা থাকে অর্থাৎ এই ধরণের লাউ তাড়াতাড়ি খারাপ হয় না। এছাড়া এইধরণের লাউএর বাঁধন খুব শক্ত হয় এবং লাউ ঢিলা হয় না। তাছাড়া জৈব লাউএর বীজ খুব ছোটো হয়। জৈবিক লাউ সবথেকে বিশেষ ব্যাপার হল এই লাউ কাটার সময় খুব কুড়মুড়ে ও কড়া হয়।
ইঞ্জেক্ট লাউঃ রসায়ন বা ইঞ্জেক্ট করে তৈরী লাউএর আকার খুব বড় হয় এবং মোটা হয়। এই লাউকে কাটার সময় আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কারণ কাটার সময় খুব নরম হয়, এই লাউএর বীজগুলি খুব বড় হয়। ইঞ্জেক্ট করা লাউ দুইদিনের মধ্যে খারাপ হয়ে যায়। এই লাউ খারাপ হওয়ার ফলে লাল, হলুদ, নীল ইত্যাদি অদ্ভুদ রঙের ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। এছাড়াও ইঞ্জেকশনযুক্ত লাউ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় যা কিনা অন্য লাউয়ের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
এত কিছু করার পরেও ইঞ্জেক্ট লাউ বাজারে প্রচুর পরিমাণে বাজারে বিক্রি হচ্ছে, কারণ কিছু কৃষক এইধরণের লাউ বেচে প্রচুর মুনাফা করছে, আর এরজন্য কিছু কৃষক মানুষের জীবন নিয়ে খেলতেও কোনো দ্বিধা করে না, কিন্তু এরজন্য আমাদের ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে এগিয়ে যাচ্ছে।
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)