'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 30 January, 2019 11:31 AM IST

পশ্চিমবাংলা তথা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় হল চা। চা-পান সাময়িকভাবে শুধু  তরতাজাই করে না চা এর মধ্যে অনেক খনিজ উপাদানও মেলে। এছাড়া চা-এর বহুবিধ ঔষধি গুণও আছে। বর্তমানে কাঁচা চা পাতা থেকেও নানারকমের প্রসাধনি সামগ্রি তৈরি করা হচ্ছে। বিশ্বের উৎপাদিত চা-এর ২৮% চা  ভারতে উৎপন্ন হয়, যার বেশিরভাগটাই উৎপন্ন হয় আসাম ও উত্তরবঙ্গে।

চা চাষে বার্ষিক ৪০০-৫০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হয় আর এই বৃষ্টিপাত বছরের প্রতিটি মাসে প্রয়োজন অনুযায়ী সমভাবে বন্টিত হওয়া দরকার। এই চাষে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হলেও কোনভাবেই গাছের গোড়ায় বেশিক্ষণ ধরে জল জমে থাকা চলে না। তাই যথাযথ নিকাশি ব্যবস্থা রাখা দরকার। চা চাষের জমি তৈরি করার সময় ঢাল অনুযায়ী নিকাশি নালা করতে হবে, যাতে অতিরিক্ত জল শাখা নালিকার মাধ্যমে প্রধান নালিকায় পড়ে সহজেই চা বাগিচার বাইরে চলে যেতে পারে। মনে রাখা দরকার, নিকাশি ব্যবস্থার জন্য ১৫% - ৪০% উৎপাদন ব্যহত হতে পারে।

শুষ্ক সময় বিশেষ করে শীত ও গ্রীষ্ম কালে চা-বাগিচায় জল সেচের প্রয়োজন হয়। চা-বাগিচায় প্রধানত দুটি পদ্ধতিতে জলসেচ করা হয় । প্লাবিত পদ্ধতি ও স্প্রিংকলার পদ্ধতি।

প্লাবিত পদ্ধতি: চা-বাগিচার কাছে ঝোড়া বা প্রবাহিত নদী থাকলে জমির ঢালকে ব্যবহার করে জলের স্রোতকে চা-বাগিচার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত করে অথবা পাম্পসেট ব্যবহার করে বাগিচায় সেচন করা হয়। এছাড়া বাগিচার মূল নালা ও তার সঙ্গে সংযুক্ত সহ নালা দিয়ে জলের ধারা প্রবাহিত করেও বাগিচায় প্লাবিত পদ্ধতিতে সেচন করা হয়। এই পদ্ধতি খুব একটা জনপ্রিয় নয় বা বিজ্ঞানসম্মতও নয়। এই পদ্ধতির অনেক প্রতিবন্ধকতাও আছে । যে সমস্ত স্থানে ঝোড়া, নদী বা অন্যান্য উৎস নেই সেখানে এই পদ্ধতি কার্যকরী হয় না। এছাড়া এই পদ্ধতির অনেক কুফলও রয়েছে। এই পদ্ধতিতে জল সেচন করলে মাটির macro এবং micro pores গুলি বন্ধ হয়ে যায়, মাটিতে আলোবাতাস চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয় ফলে শিকড়ের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং বিভিন্ন ধরনের শিকড়ের রোগ দেখা যায়। ব্ল্যাক রট, ব্রাউন রুট রট, চারকোল রট ইত্যাদি জনিত কারণে বাগিচার অনেক গাছ মরে যায়। কিছু গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে যেখানে পরবর্তীকালে রোগ পোকার আক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করে। এছাড়া মাটিতে থাকা বিভিন্ন উপকারী জীবাণু ধ্বংস প্রাপ্ত হয় এবং আগাছার বাড় বৃদ্ধি বেশি হয়। এই পদ্ধতিতে সেচন করলে মাটিতে থাকা গাছের বিভিন্ন খাদ্য উপাদান ধুয়ে চলে যায়।

স্প্রিংকলার পদ্ধতি: চা-বাগিচায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি হল স্প্রিংকলার পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে সাফল্যের সঙ্গে চা-বাগিচায় জলবিন্দু বর্ষিত হয় যা চা-বাগিচার গাছের নানা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া (metabolic activity) সক্রিয় করে সর্বমোট পাতার উৎপাদনও অনেক বাড়ে। এর প্রাথমিক খরচ প্লাবিত পদ্ধতির থেকে অনেক বেশি হলেও পরের দিকে এই সেচন পদ্ধতি সাশ্রয়জনক হয়।

আরও পড়ুন শীতের শেষে টমাটো ও কপির রোগ ও তার প্রতিকার

চা-বাগিচায় রোটেটিং হেড স্প্রিংকলার পদ্ধতিটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতির প্রধান অংশ হল হেড। যার সঙ্গে যুক্ত থাকে একটি বা দুটি নজেল, যার মধ্য দিয়ে জল প্রবাহিত action দ্বারা ঘোরে। এর ফলে বৃষ্টির মত জলবিন্দু নির্গত হয়। বায়ুমন্ডলের চাপ ও ডিসচার্জের ওপর ভিত্তি করে সাধারণত নিম্নচাপযুক্ত, মধ্য চাপ যুক্ত ও উচ্চ চাপ যুক্ত স্প্রিংকলার সেট বাগিচার অবস্থান ও চাহিদা অনুযায়ী বসানো হয়।

ড: মেহফুজ আহমেদ

সহ কৃষি অধিকর্তা (বিষয়বস্তু), জলপাইগুড়ি মহকুমা কৃষি করণ

শ্রী ভরত শর্মা

সিনিয়র টি প্ল্যান্টার ও সেক্রেটারি, বোরলগ ভিশন সোসাইটি

চা বাগানে উন্নত জলসেচ পদ্ধতি সম্পর্কে আরো জানতে পড়ুন কৃষি জাগরণের ফেব্রুয়ারী মাসের পত্রিকাটি।

- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)

English Summary: Irrigation on tea garden
Published on: 30 January 2019, 11:31 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)