গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে শীত কালীন আলু চাষ হয় এখন। মূলত:ধুপগুড়ি,ময়নাগুড়ি, কোচবিহার,উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু অংশে, অলিপুরের কিছু অংশে ব্যাপক আকারে আলু চাষ হয়। মূলতঃ পাঞ্জাব কিংবা ভুটান থেকে আনা সার্টিফিয়েড বীজএর উপরে এই চাষীরা নির্ভরশীল। এটিকে এই এলাকার একটি "বিপদজনক ও অর্থকরী" ফসল বলা যায়।
যাই হোক আলুর কিছু রোগ এবং তার প্রতিকার এখানে বলা হলো:
জলদি ধসা ও নবি ধসা: একটানা মেঘলা আকাশ, ভেজা আবহাওয়া, ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি, বেশি ঠান্ডায় এই রোগ এর আক্রমণ ঘটে। জলদি ধ্বসা আলুগাছের গোড়ার দিকে পাতায় বাদামি রঙের গোল দাগ হয়ে উপরের পাতায় ওঠে এবং পাতাগুলি শুকিয়ে ও গুটিয়ে গিয়ে মরে যায়। প্রতিকার:সেচের জল কম বা অর্ধেক ভেলি র ভেজা, চাপান সার বন্ধ করা। এছাড়া সকাল ১১ টার আগে ও বিকাল ৩টার পরে এই ওষুধ গুলি একে একে ১০/১২ দিন অন্তর অন্তর স্টিকার সহ ডাইমিথোমফ(১গ্রাম) সহ মেংগোজেব(২গ্রাম), ফেডামিন সহ মেঙগোজেব(সেকটিন 2গ্রাম), মেটালিকক্সিল এম সহ মেনগোজেব(রিডোমিল গোল্ড ২.৫গ্রাম), আইপ্রোভ্যালিকার্ব সহ প্রপিকোনাজল(মেলোডি ডুও ২.৫গ্রাম), শেষে সাইমক্সিল সহ মেনগোজেব(কাজেট এম ৮ ২.৫ গ্রাম)।
জলদি ধসা প্রতিরোধে প্রথমে কপার অক্সি ক্লোরাইড(৪গ্রাম) তারপর মেনগোজেব (২.৫গ্রাম) বা প্রোপিনেব (৩গ্রাম) ব্যবহার করা যেতে পারে।
- অমরজ্যোতি রায় (amarjyoti@krishijagran.com)