এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 27 February, 2019 10:42 AM IST

আমাদের দেশে কৃষিকাজে যে পরিমাণে কৃষিবিষ ব্যবহৃত হয় তা অনিয়ন্ত্রিত ভাবে আমাদের পরিবেশ দূষিত করছে যা মানুষ সহ সমস্ত প্রাণীকূলকে সমূহ বিপদের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে টিকিয়ে রাখতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কৃষিবিষ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে যা আমাদের সকলেরই পালন করা উচিত।

প্রাথমিক সতর্কতা –

(1) ফসলে কী রোগ হয়েছে বা কোন পোকার আক্রমণ হয়েছে তা আগে নির্নয় করতে হবে।

(২) বিভিন্ন রোগ ও পোকার ধরন অনুযায়ী বিষ নির্বাচন করে  সুপারিশ মাত্রা অনুয়ায়ী জমিতে পেস্টিসাইড প্রয়োগ করতে হবে।

(৩) রোগ পোকার আক্রমণের তীব্রতা অর্থনৈতিক চরমসীমা অতিক্রম করলেই পেস্টিসাইড ব্যবহার করা উচিত।

(৪) রোগ পোকা আক্রমণের প্রথম দিকে বটানিক্যাল বা বায়ো পেস্টিসাইড ব্যবহার করা উচিত।

(৫) একই পেস্টিসাইড বারবার ব্যবহার করলে পোকা-মাকড়ের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে তাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একাধিক পেস্টিসাইড ব্যবহার করতে হবে।

(৬) পেস্টিসাইড প্রয়োগের আগে ফসলের সারাদেহ জলে ভিজিয়ে নিতে হবে।

(৭) পেস্টিসাইড কেনার আগে, আধারের গায়ে লেখা পেস্টিসাইডের মেয়াদ (expiry date) দেখে নিতে হবে। আধারের গায়ের লেবেলটি যেন নষ্ট না হয়, কারণ লেবেলটিতে অনেক তথ্য থাকে।

(৮) স্প্রে করার আগে ফসল তুলে নিয়ে রাসায়নিক ব্যবহারের ২ সপ্তাহ ফলন বাজারজাত করা চলবে না।

(৯) ব্যবহারের সময় কৃষিবিষ যেন প্রয়োগকারীর শরীরে প্রবেশ না করে।

(১০) বাজার থেকে কেনা সবজি কমপক্ষে ১৫ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখলে 70 শতাংশ বিষ বের হয়ে যায়। আবার ফল ও সবজি হাল্কা গরম জলে ধুয়ে নেওয়া ভালো।

পেস্টিসাইড ব্যবহারকারীর সতর্কতা   -

(১) কেবলমাত্র সরকারি রেজিস্ট্রিকৃত সঠিক পেস্টিসাইড সুপারিশ মাত্রা অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।

(২) পেস্টিসাইড মাপার নির্দিষ্ট পাত্র ব্যবহার করে কৃষিবিষ ও জলের মিশ্রণ সঠিকভাবে ও সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে। এই সময় হাতে দস্তানা ও চোখে পশমা পরবেন।

(৩) প্রথমে কৃষি বিষ অল্প জলে গুলে নিয়ে স্পেয়ারে ঢেলে বাকি জল মিশিয়ে স্পেয়ারটি খুব ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন।

(৪) স্প্রে করার সময় ধূমপান ও খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না।

(৫) স্প্রে করার সময় সারা শরীর ঢাকা দেওয়া পোষাক পরতে হবে যাতে পেস্টিসাইড শরীরে স্পর্শ না করে। নাক ও মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে নিন।

(৬) খালি পেটে স্প্রে করা যাবে না, কৃষিবিষ ব্যবহারের আগে খাবার খেয়ে নিতে হবে।

(৭) বাচ্চারা কখনোই যেন স্প্রে না করে। পেস্টিসাইড বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।

(৮) স্প্রে করার জায়গায় খাদ্য সামগ্রী যেন না থাকে।

(৯) ফুঁ দিয়ে স্প্রেয়ার নজলে পরিস্কার করা উচিত নয়।

(১০) বাতাসের অনুকূলে অর্থাৎ হাওয়া যে দিকে বয় সেই দিকে স্প্রে করতে হবে।

কৃষিবিষ ব্যবহারের পর সতর্কতা  –

(১) কৃষি বিষ ব্যবহারের পর ভালোকরে হাত, মুখ ও জামা কাপড় ধুয়ে ফেলতে হবে।

(২) ওষুধ প্রয়োগের পর খালি আধার নষ্ট করে ফেলতে হবে।

(৩) খালি পেস্টিসাইডের আধার বা শিশি ও স্প্রেয়ার পুকুরে ধোয়া উচিত নয়, এতে পুকুরের জলে বিষ মিশতে পারে।

(৪) স্প্রে করার পর খলি কৌটো / প্যাকেট পতিত জমিতে বা মাটিতে পুঁতে ফেলা বা নির্দিষ্ট জঞ্জাল ফেলার জায়গায় বাতিল করতে হবে।

(৫) কৃষিবিষ প্রয়োগের পর জমিতে লাল পতাকা পুঁতে দিতে হবে।

(৬) পেস্টিসাইডের খালি কৌটোতে কোন খাদ্যসামগ্রী রাখা উচিত নয়।

- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)

English Summary: Precaution during the usage of Insecticide
Published on: 27 February 2019, 10:42 IST