কেন্দ্রের সহ কৃষি অধিকর্তা ড: অনুপম পালের উদ্যোগে ২০০১ সাল থেকে ৫টি দেশী ধান নিয়ে জৈব কৃষি নিয়ে কাজ শুরু হয়। ডঃ দেবল দেব প্রতিষ্ঠিত বাঁকুড়ার ব্রীহি বীজ বিনিময় কেন্দ্র থেকে ২২ টি দেশী ধান নিয়ে কাজ শুরু হয়। অসম মহারাষ্ট্র নাগালান্ড প্রভৃতি রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গ বিভিন্ন কৃষক, কলকাতার ডি আর সি এস সি, ওড়িশার সম্ভব-এর শ্রীমতী সবরমতি লিভিং ফারমস, ছত্তিসগড়ের রিচারিয়া কাম্পেন এর জেকব নেলিথানম, বেনারসের জয়প্রকাশ সিং, কেরালার থানাল ও সেভ আওয়ার রাইস ক্যাপ্টেন, কর্ণাটকের সহঝা সমৃদ্ধও, ঝাড়খণ্ডের শ্রী সৌমিক ব্যানাজী ও সোয়ালা থেকে এ পর্যন্ত ৪৩০ এর বেশি দেশী ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। মোট ৪৩০ টি দেশী জাতের মধ্যে ৬০ টি সুঘন্ধি, ৩১ টি গভীর জলের, ৬ টি নোনা জলের জমির, ২৫ টি স্বল্প মেয়াদি, ২৩ টি বেশি ফলনের, ১৫ টি সরু চালের,২২ টি মাঝারি ধানের জাত রয়েছে। এছাড়া ৪০ রকমের লাল চাল, ১ টি ধানের ২ টি চাল বিশিষ্ট ধান,৭ রকমের কালো চালের জাত, ঠাণ্ডা জলে চাল ভেজালে ভাত হয় এমন জাত ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে
এখানকার এক গবেষণায় দেখা যায় কেরালার সুন্দরি, বহুরূপী ও কেশবশাল ইত্যাদি ধানের ফলন বিঘা প্রতি ১৮-২০ মন হয়। কৃষকের জমিতেও এই ফলনের কোনও তারতম্য হয় না। জৈব পদার্থ, মাটির উপকারী জীবাণু, ছত্রাক ও মাটির বিশেষ কৃমির বিশেষ পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে উদ্ভিদ খাদ্যের যোগান বেশি হয়। তাছাড়া দেশী ধানে লোহা ও জিঙ্কের পরিমাণ আধুনিক জাতের থেকে অনেক বেশি থাকে। ধানের বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিস্ট্য লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যৌথ উদ্যোগে দেশী ধান নিয়ে গবেষণার কাজে লিপ্ত হয়েছেন।
তথ্যসূত্র
ফুলিয়া,নদিয়া
- জয়তী দে