রাজ্যের দশটি জেলায় জেনেটিক্যালি ইমপ্রুভড ফার্মড তেলাপিয়া চাষ চলছে, কল্যাণীতে অবস্থিত রাজ্যের মিঠাজল মাছ চাষ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে। মৎস্যচাষীদের কম সময়ে বেশী লাভের দিশা দেখাচ্ছে এই ‘গিফট’ তেলাপিয়া।
একশো দিনে সাধারণ তেলাপিয়ার যেখানে ১২০-১৫০ গ্রাম ওজন দাঁড়ায়, সেখানে এই ‘গিফট’ তেলাপিয়া চাষ করলে গড়ে পাঁচশো গ্রাম ওজন পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ‘গিফট’ চাষে অতিরিক্ত খাবারও দিতে হয়না।
সাধারণ তেলাপিয়া চাষের মূল অন্তরায় হল, এরা অল্প দিনেই ডিম পাড়ে, সেই ডিম থেকে বাচ্চা হয়ে যাওয়ায় পুকুরে মাছের সংখ্যা প্রচুর বেড়ে যায়, ফলে মাছ বাড়তে পারেনা। কিন্তু ক্রোমোজোমের পরিবর্তন ঘটিয়ে এই ‘গিফট’ তেলাপিয়া চাষে শুধু পুরুষ তেলাপিয়াই পাওয়া যাবে, ফলে ডিমপাড়া ও সেই ডিম থেকে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা।
মৎস্যগবেষক আধিকারিকরা জানিয়েছে, প্রথম দিকে ৩০ শতাংশ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দিলেই হয় এবং পরে খাবারে প্রোটিনের মাত্রা ২৫ শতাংশ থাকলেই হবে। জলাশয়ের প্রাকৃতিক খাবারও খেয়ে থাকে এই তেলাপিয়া। সিলেকটিভ ব্রিডিংয়ের ফলে ‘গিফট’ তেলাপিয়ার ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার অনেকটাই বেশী। পরীক্ষামূলকভাবে সফল হলেও এখনও বাণিজ্যিক ভাবে এই চাষ শুরু করতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এ রাজ্যের মৎস্য চাষীদের ‘গিফট’ পেতে এখনও রাজ্যের স্যাটেলাইট ‘হ্যাচারীর’ তৈরীর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
- তন্ময় কর্মকার