গত ৫ বছরে কেরালায় (Kerala) কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের যোগদানের হার ৪৩ শতাংশের বেশি। দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কেরালার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সর্বাধিক মহিলারা কৃষি শিক্ষার জন্য ভর্তি হন | ভারতীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কৃষি শিক্ষার (কৃষি, উদ্যানপালন, পশুপালন, কৃষি প্রযুক্তি, দুগ্ধ ও মৎস্য সহ) কোর্সে নিবন্ধন করা নারীদের অংশ গত পাঁচ বছরে ৪৩ শতাংশের বেশি হয়েছে |
অবাক করার মতো ব্যাপার হল, ত্রিশুর-ভিত্তিক কেরালা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (KAU) প্রতি বছর মোট ভর্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই গত পাঁচ বছর ধরে মেয়ে। ২০১৬-১৭ সালে ৬৬২ টি নতুন তালিকাভুক্তির মধ্যে ৪৯৩ টি ছিল মেয়েদের। ২০২০-২১-এ KAU- তে মোট নথিভুক্তির সংখ্যা ১০৭২-এ গিয়েছিল, নতুন তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে মেয়েদের সংখ্যা উপরে ছিল |
মেয়েদের ভর্তির হার গত পাঁচ বছরে কোচি-ভিত্তিক কেরালা ইউনিভার্সিটি অফ ফিশারিজ অ্যান্ড ওশান স্টাডিজের গড় ৬৫.২২ শতাংশ এবং ওয়ায়ানাদ-ভিত্তিক কেরালা ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৯.২২ শতাংশ। উত্তর প্রদেশের বান্দা কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের ভর্তি সর্বনিম্ন রয়েছে। ২০১৬-১7 থেকে শুরু করে পাঁচ বছরে মোট নথিভুক্তিতে মেয়েদের গড় অংশগ্রহণ ৬.৮৮ শতাংশ ছিল।
আরও পড়ুন -Farmers get 70% subsidy: হরিয়ানায় কৃষকরা জলের ট্যাংক নির্মাণে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি পাবেন
কৃষিতে মহিলাদের যোগদানের তথ্য:
রাজ্যসভায় প্রদত্ত উত্তরে পাওয়া তথ্য দেখায় যে দেশে কৃষি শিক্ষায় নথিভুক্তি বাড়ছে | ২০১৬-১৭ সালের তুলনায় ২০১৭-১৮ সালে কৃষি শিক্ষায় যোগদানের হার ৩.৮৪ শতাংশ বেড়েছে | ২০১৯-২০ সালের তুলনায় ২০২০-২১-এ ৫.৭২ কৃষি শিক্ষার হার বেড়েছে |
দেশের ৭৩ টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট নথিভুক্তি ২০২০-২১ সালে সর্বোচ্চ ৪৮,৭৯৩ হয়েছে যা ২০১৬ -১৭ সালে ৩৯,২৯৭ ছিল | এই কোর্সে ভর্তির জন্য মেয়েদের অংশগ্রহণ ২০২০-২১ সালে ২১,৮০৪-এ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০১৬-১৭ সালে ১৭,২৯৭ ছিল |
২ রাজ্য রয়েছে শীর্ষে:
দেশে কৃষি শিক্ষার নেতৃত্ব দিচ্ছে দেশে দুটি রাজ্য - মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক। এই রাজ্যগুলির প্রত্যেকটি দেশের মোট তালিকাভুক্তির ১০ শতাংশের বেশি নথিভুক্ত করেছে। ২০১৬-১৭ এবং ২০২০-২১ এর মধ্যে পাঁচ বছরে মোট তালিকাভুক্তির মধ্যে মহারাষ্ট্রের গড় ভাগ ছিল ১১.২০ শতাংশ এবং কর্ণাটকের ছিল ১০.৯৭ শতাংশ। এই রাজ্যের প্রতিটিতে ছয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
গুজরাট রয়েছে তৃতীয় স্থানে যেখানে ৫ বছরে মোট নথিভুক্তির সংখ্যা ৭.২১ শতাংশ | এবং উত্তরপ্রদেশে ৬.৯৫ শতাংশ এবং তামিলনাড়ু তে ৬.৫৮ শতাংশ | উত্তরপ্রদেশে নয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গুজরাটে পাঁচটি এবং তামিলনাড়ুতে তিনটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
রাজ্যসভার উত্তরে প্রদত্ত তথ্য দেখায় যে, ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ (ICAR) গত পাঁচ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ১৭৫৫৯ বৃত্তি / ফেলোশিপ প্রদান করেছে। শুধু তাই নয় এই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গত পাঁচ বছরে ১৩৬ টি পেটেন্ট তৈরি করা হয়েছে।
রায়পুর ভিত্তিক ইন্দিরা গান্ধী কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয় ১১ টি স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি করেছে এবং জোড়হাট ভিত্তিক আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এরকম দশটি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করেছে। মেয়েদের জন্য রয়েছে হোস্টেলের ব্যবস্থাও |
আরও পড়ুন -NIV Recruitment 2021: আইসিএমআর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত