কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ২৩-২৪ অর্থ বর্ষে ২য় দফায় সরকারি ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে কৃষক,কৃষক গোষ্ঠি,কৃষি সমবায় বা যে কোনো কৃষি সংস্থা ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনারজন্য আবেদন করতে পারবে।আবেদন করা যাবে ২১.০১.২০২৪ পর্যন্ত।
কিভাবে এই প্রকল্পে আবেদন করবেন?
কৃষিদপ্তর, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওরেবসাইট matirkatha.net এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে হবে ২১ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে।বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমেও আবেদন করা যেতে পারে।মুল আবেদনের প্রতিলিপি ও প্রয়োজনিও নথি সহ ২১শে জানুয়ারি ২০২৪ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের দফতরে জমা দিতে হবে।যে সকল কৃষক বিগত ৪ বছরের মধ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য কোন সরকারী প্রকল্প থেকে কোন ধরনের ভর্তুকি পায়নি তারাই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে 50 থেকে 80 শতাংশ ভর্তুকি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আবেদন প্রক্রিয়া জানুন
কোন কোন প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে?
১।কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য আর্থিক অনুদান প্রকল্প (FSSM)
২।ক্ষুদ্র কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য এককালীন ভর্তুকি প্রকল্প (OTA – SFI)
৩।কৃষি যন্ত্রাদি ভাড়া কেন্দ্রে স্থাপনের জন্য ভর্তুকি প্রকল্প (CHC)
আবেদনের জন্য প্রয়োজনিয় নথি
১।ভোটার কার্ড
২।আধার কার্ড
৩।একটি মোবাইল নম্বর
৪।কৃষক বন্ধু আইডি নম্বার থাকলে তা দিতে হবে।
৫।জমির পরিমান এবং সম্পূর্ন ঠিকানা ( মৌজা , জে এল এবং খতিয়ান নম্বর )
৬।ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সম্পূর্ণ তথ্য
৭।আরবদনকারীর ভোটার কার্ড ও ব্যাঙ্কের পাসবুকের প্রথম পাতা বা চেকের ছবি JPEG / JPG করর ২০০ কেবি সাইজে আপলোড করতে হবে।
কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য আর্থিক অনুদান
যে কোন ব্যক্তি,ক্ষুদ্র ও প্রন্তিক শ্রেণীর কোন কৃষক,সমবায় সংস্থা,যৌথ দায়বদ্ধ গোষ্ঠি, ফার্মার্স প্রোডিউসার অর্গানাইজেশান,স্বনির্ভর গোষ্ঠি এবং কৃষক স্বার্থ গোষ্ঠির সদস্য এই প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারবেন।
-
FSSM প্রকল্পে পাওয়ার টিলার ও সোলার পাম্প কিনতে আগ্রহী কৃষকদের কমপক্ষে ১একর জমির মালিকানা থাকতে হবে।
-
পাওয়ার টিলার,সোলার পাম্পসেট,কৃষি ড্রোন প্রভৃতি শক্তিচালিত যন্ত্রের জন্য FSSM-প্রকল্পে ভর্তুকি যন্ত্রভেদে ৫০-৬০ শতাংশ।
-
স্প্রেয়ার,থ্রেশার প্রভৃতি ছোট যন্ত্রের জন্য OTA-SFI প্রকল্পে ভর্তুকি মোট দামের ৫০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ১০০০০ টাকা।
-
কৃষিযন্ত্র ক্রয়ের যাচাই এর পর নির্ধারিত ভর্তুকির টাকা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রদান করা হবে।