'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 12 November, 2018 1:04 PM IST

কৃষি প্রধান দেশ হওয়ায় ভারতে কৃষিজ প্রযুক্তি ও সেবার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান ভারতের রয়েছে। ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি অ্যান্ড প্রমোশনের (ডিআইপিপি) তথ্য বলছে, ভারতবর্ষ কৃষিসংক্রান্ত সেবা ও কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার ক্রমেই বিদেশী সরাসরি বিনিয়োগের (এফডিআই) উর্বর ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। ২০০০ সালের এপ্রিল থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের দেশের কৃষি সেবা খাতে এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল ২০২ কোটি ডলার। একই সময়ে কৃষি যন্ত্রপাতি শিল্পে এফডিআইয়ের প্রবাহ ছিল ৪৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের বেশি। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে। উল্লিখিত সময়ে ভারতের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প বিদেশী সরাসরি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে ৮৩৭ কোটি ডলারের।

তথ্যমতে, সর্বশেষ ২০১৭-১৮ (এপ্রিল-মার্চ) অর্থবছরেও ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৮ শতাংশের জীবিকার প্রাথমিক উৎস ছিল কৃষি। ওই সময় ভারতের মোট জিডিপিতে কৃষি, বনায়ন ও মত্স্য খাতের মোট অবদান ছিল ১৭ লাখ ৬৭ হাজার কোটি রুপি (২৭ হাজার ৪২৩ কোটি ডলার*)।

ভারতে খাদ্য শিল্পের বিকাশ ঘটছে খুব দ্রুতগতিতে। বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের বাজারে আমাদের দেশের অবদান প্রতি বছরই বাড়ছে। মূলত কৃষিপণ্যের মূল্য সংযোজনের ক্ষেত্রে নিজস্ব সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ অর্জনকে সম্ভব করে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে উৎপাদন, ভোগ, রফতানি ও প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ভারতের খাদ্য শিল্প আমাদের দেশ সব ধরনের শিল্পের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে।

ব্যাপক অগ্রগতি সত্ত্বেও ভারতের কৃষি খাতে এখনো কিছু দুর্বলতা রয়ে গেছে। বিশেষ করে ডালশস্যের ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতায় আমরা বেশ পিছিয়ে। মূলত প্রধান ডাল উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোর সেচ ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা এর একটি বড় কারণ। এছাড়া আমাদের দেশের বড় একটি অংশ এখনো কৃষির জন্য মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে মোট উৎপাদন হ্রাস পায়। অন্যদিকে যেসব অঞ্চলে সেচের জন্য প্রচুর জল পাওয়া যায়, সেখানকার সেচ ব্যবস্থাপনাও বেশ দুর্বল। এ কারণে প্রচুর পরিমাণ জল নষ্ট হয়। প্রতি ইউনিট খাদ্যশস্য উৎপাদনের জন্য ভারতকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগী দেশ চীন ও ব্রাজিলের তুলনায় যথাক্রমে দুই ও চার গুণ বেশি জল ব্যবহার করতে হয়।

আমাদের দেশের কৃষি খাতের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকারী বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যর্থতা। ভারতকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলেছে, সে দেশের কৃষক। অথচ তাদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির বিষয়টিই সে দেশে সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত। এ কারণে আমাদের দেশের প্রতি বছর প্রচুর কৃষক আত্মহত্যা করে থাকেন।যেটি একটি লজ্জা জনক অধ্যায়।

এ দুটি বিষয়কে বাদ দিলে গবেষণা, প্রযুক্তি ও বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে কৃষি খাতে ভারত যেভাবে এগিয়েছে, তা থেকে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ রয়েছে অনন্য দেশ গুলির।

- অমরজ্যোতি রায়

English Summary: Farm mechanization for future of India
Published on: 30 October 2018, 05:35 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)