সহায়ক মূল্যে ধান কেনার সময় এতদিন ধানে ধুলোবালি বা খোসা আন্দাজ করে বস্তা পিছু কিছুটা করে ওজন বাদ দেওয়া হত৷ তাতে প্রতি বস্তায় ২-৮ কেজি পর্যন্ত ওজন বাদ পড়ত। এ সব করতে গিয়ে অনেক সময় চাষিদের সঙ্গে বচসা বাধত খাদ্য দপ্তরের কর্মীদের৷ চাষিরা দাবি করতেন, অতিরিক্ত ওজন বাদ দেওয়া হচ্ছে৷ মূলত ঝঞ্ঝাট এড়াতেই খাদ্য দপ্তর এই ব্লকগুলির কিষান মান্ডিতে একটি করে প্যাডি ক্লিনিং মেশিন বসিয়েছে৷ চাষিদের আনা ধান ওই মেশিনে পরিষ্কার করে তারপর কিনছে খাদ্য দপ্তর৷
এ বছরই কাটোয়া মহকুমায় প্রথম এই মেশিন ব্যবহার করে ধান কেনা হচ্ছে৷ খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম-১ ও কেতুগ্রাম-২ ব্লকে ধান পরিষ্কারের যন্ত্র বসানো হয়েছে৷ এই যন্ত্রে এক বস্তা ধান ঢেলে দিলে কিছু সময়ের মধ্যেই তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। বস্তার মধ্যে থাকা ধুলোবালি, ভাঙা ধান, ধানের খোসা আলাদা করে দিচ্ছে ক্লিনিং মেশিন। সরকারকেও ধান কিনে ঠকতে হবে না৷ চাষি যতটা ভালো মানের ধান দেবেন, সেই পরিমাণের জন্য দাম পাবেন৷
একই সঙ্গে মেশিনের সাহায্যে অসাধু ব্যবসায়ীদের ফন্দিফিকির বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে। অনেক সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা চাষিদের থেকে কুপন নিয়ে ধান বিক্রি করতে আসেন৷ তাঁরা মূলত সব থেকে খারাপ ধানটা নিয়ে আসেন সরকারি দামে বিক্রির জন্য৷ কেনার পর দেখা যায়, বেশিরভাগ ধানটাই খারাপ৷ এই যন্ত্র বসানোয় তাদের জব্দ করা যাবে৷ খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া মহকুমার আরও দু'টি ব্লকেও এই যন্ত্র বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ যে ব্লকে প্যাডি ক্লিনিং মেশিন আছে, প্রয়োজন মনে হলে তার পাশের ব্লক থেকেও ধান এনে যন্ত্রে পরীক্ষা করা হবে৷ চাষিরাও এই যন্ত্রের সাহায্যে ন্যয্য দাম পেয়ে খুশি।
- রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)