এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 24 July, 2020 11:29 AM IST

স্বল্প খরচে অধিক আয়ের জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে সুধা পদ্ধতিতে আমন ধান উৎপাদনে জোর দিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা কৃষি দপ্তর। প্রথাগত পদ্ধতির তুলনায় নতুন এই পদ্ধতির চাষে খরচ অনেক কম হয়। বীজতলায় বিজ্ঞানসম্মত ভাবে সুস্থ সবল চারা তৈরি করে উৎপাদন সহজেই বৃদ্ধি করা যাবে। তবে বীজতলায় নিয়মিত আগাছা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এই পদ্ধতিতে বর্ষাকালীন বৃষ্টির উপর নির্ভর করতে লাগে না। এবছরই জলপাইগুড়ির জেলার বিভিন্ন ফারমার্স ক্লাব ও এফপিও’র মাধ্যমে সুধা পদ্ধতিতে আমন ধান চাষ করা হচ্ছে।

চাষে একর প্রতি বীজ লাগে সাড়ে চার কেজি। বিঘা প্রতি ২২ মন ধান উৎপাদন হবে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে সুধা পদ্ধতিতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বীজতলা ও চারা তৈরি করতে হবে।

বীজতলা -  এক একর জমির চারা রোপণ করার জন্য বীজতলা করতে পাঁচ ডেসিমেল জমি লাগবে। এই পরিমাণ বীজতলা জন্য ২০০ কেজি জৈব সার, ৫০০ গ্রাম নাইট্রোজেন, ২ কেজি ফসফেটের সঙ্গে ২০০ গ্রাম বরিক পাউডার এবং ৫০০ গ্রাম জিঙ্ক সালফেট ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও ১৫ দিন অন্তর বীজতলায় প্রতিবারে ৪০০-৫০০ গ্রাম নাইট্রোজেন প্রয়োগ করতে হবে। রোপণের ১০-২০ দিনের মাথায় আগাছা দমন করতে হবে। বীজতলায় ছিপ ছিপে জল রাখতে হবে। চারা তোলার ঠিক সাত দিন আগে বীজতলায় কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

চারা রোপন -  বীজতলা থেকে চারা তোলার ঠিক ছ’ঘণ্টার মধ্যেই মূল জমিতে চারা রোপণ করতে হবে। চারা নির্দিষ্ট দূরত্বে গুছিতে একটি করে মূল জমিতে রোপণ করতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদি আমন ধানের ক্ষেত্রে ৫০-৬০ দিনের চারা ২০ সেন্টিমিটার বাই ২০ সেন্টিমিটার দূরত্বে বসাতে হবে।

মধ্য ও স্বল্পমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে ৪০-৪৫ দিন বয়সের চারা সারি থেকে সারি ও গাছ থেকে গাছ ২০ সেন্টিমিটার রাখতে হবে।

সার - মূল জমিতে দীর্ঘমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে হেক্টর প্রতি সারের পরিমাণ হবে ৮০ কেজি নাইট্রোজেন, ৩২ কেজি ফসফেট এবং ৪০ কেজি পটাশ। অর্থাৎ প্রথম চাপানে একের দুই ভাগ ও দ্বিতীয় চাপানে একের চার ভাগ নাইট্রোজেন যথাক্রমে একের দুই ভাগ পটাশ দিতে হবে। 
মধ্য ও স্বল্পমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে ৬০ কেজি নাইট্রোজেন, ২৪ কেজি ফসফেট, ৩০ কেজি পটাশ দিতে হবে। এক্ষেত্রে একবার চাপান দিতে হবে একের দুই ভাগ নাইট্রোজেন ও পটাশ।

অনুখাদ্য হিসাবে ১ গ্রাম চিলেটেড জিঙ্ক, ২০ শতাংশ বোরন ২ গ্রাম, ইউরিয়া ১০ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে প্রথমে সর্বাধিক পাশকাটি আসার সময় ও দ্বিতীয়বার থোর আসার আগে স্প্রে করতে হবে। 

রুনা নাথ।

English Summary: rice cultivation in sudha technique
Published on: 12 July 2018, 04:11 IST