'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার
Updated on: 22 December, 2018 7:53 PM IST

আমন ধান কাটার পর জমি ফেলে না রেখে বিনা কর্ষণে অর্থাৎ জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে ভুট্টা চাষ করে লাভবান হতে পারেন কৃষকরা। জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে ভুট্টা চাষে আলাদা করে জমি তৈরির জন্য লাঙল দিতে হয় না। ফলে সময় ও খরচের সাশ্রয় হয়। প্রচলিত পদ্ধতিতে ভুট্টা চাষ তিনটি চাষ দিতে হয়। তিনটি চাষের জন্য সময় লাগে যায় ১৫-২০ দিন। ফলে ধান কাটার পর ভুট্টা চাষ শুরু করতে দেরি হয়ে যায়। জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে ভুট্টা চাষ করলে জমিতে চাষ দেওয়ার কোনও প্রয়োজন হয় না। ফলে সময়ে চাষ শুরু করা যায়। 

বোরো ধান ও গমের বিকল্প ফসল হিসেবেও ভুট্টা চাষ করতে পারেন কৃষকরা। উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে ভুট্টা চাষে একদিকে যেমন চাষের খরচ কমবে, তেমনই লাভের পরিমাণ বাড়বে।

রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় ‘হুইট ব্লাস্ট’-এর জন্য গত ২ বছর ধরে গম চাষে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে ওইসব জেলায় গম চাষ করতে পারছেন না কৃষকরা। অন্যদিকে, যেসব কৃষক বোরো ধান চাষ করতে চান তাঁদেরও ভাবাচ্ছে জল সঙ্কটের বিষয়টি। কারণ, এবার জলের অভাবে মারাত্মকভাবে মার খেয়েছে আমন চাষ। বৃষ্টির ঘাটতির জন্য পুকুর, খাল-বিলে এখনই সেভাবে জল নেই। কাজেই  বোরো ধান চাষে সেচ দেওয়ার সময় অসুবিধায় পড়তে পারেন কৃষকেরা। তাই নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন রাজ্যের  চাষিরা। এই পরিস্থিতিতে কৃষকরা অনেকটাই নিশ্চিন্তভাবে ভুট্টা চাষ করতে পারেন। কৃষি দপ্তরের তরফে এনিয়ে জোরদার প্রচারও করা হচ্ছে। কৃষকদের অনেকেই তা বুঝে ভুট্টা চাষে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। এখন ভুট্টার উচ্চ ফলনশীল সংকর জাতের বীজ চলে এসেছে বাজারে। ঠিকমতো চাষ করতে পারলে তা থেকে আয় বাড়ানো যায়।

কৃষি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জমিতে ৮ ইঞ্চি গোড়া রেখে ধান কাটতে হবে। ধান কেটে নেওয়ার ৫-৭দিন পর ঘাস মারার ওষুধ স্প্রে করে দিতে হবে। এর পর ট্রাক্টরের পিছনে জিরো টিলেজ মেশিন লাগিয়ে ভুট্টার বীজ বুনে দিতে হবে। এই মেশিনের সাহায্যে সারিতে বীজ বোনা যায়। তাছাড়া বীজের সঙ্গেই সার দেওয়া সম্ভব হয়। জিরো টিলেজ মেশিনে বুনতে প্রতি বিঘায় আড়াই কেজির মতো ভুট্টার বীজ লাগে। সঙ্গে বিঘায় এনপিকে ১০: ২৬: ২৬ সার লাগে ৩০-৩৫ কেজি। তাছাড়া সারের সঙ্গে বিঘায় এক কেজি বোরন মিশিয়ে দিতে হবে। বীজ বপনের পর জমিতে ক্লোরোপাইরিফস স্প্রে করে দিতে পারলে রোগপোকার আক্রমণের আশঙ্কা কমে। এতে মাটিতে বসবাসকারী উপকারি জীবাণুরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। আমন ধানের জমিতে থেকে যাওয়া ধানের গোড়া সেচের জল পেয়ে জৈব সারের কাজ করে। প্রচলিত পদ্ধতিতে ছিটিয়ে সার দেওয়ায় অনেক পরিমাণ সারের অপচয় হয়। তা ছাড়া ওই সার পেয়ে জমিতে থাকা আগাছা ও ঘাস দ্রুত বেড়ে ওঠে। কিন্তু, জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে যেহেতু বীজের একদম গোড়ায় সার পড়ে, ফলে সারের অপচয় হয় না বললেই চলে। সেইসঙ্গে ঘাস বা আগাছা সার পেয়ে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় না। জিরো টিলেজ মেশিনে সারিতে বীজ বোনা যায় বলে পরবর্তীতে চাষের পরিচর্যায় সুবিধা হয় বেশী।

- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)

English Summary: zero tillage farming corn
Published on: 22 December 2018, 07:53 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)