২০১৯ সালে জানুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গ কৃষি বিভাগ বাংলার কৃষকদের জন্য একটি প্রকল্প আনে। যার নাম কৃষক বন্ধু প্রকল্প। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কৃষকদের কৃষি কাজের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা এবং কৃষকদের অকালমৃত্যুর ক্ষেত্রে খামার পরিবারগুলিকে সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করা। ১ একর বা তার বেশি চাষযোগ্য জমির কৃষকরা বার্ষিক ১০ হাজার টাকা পান এই প্রকল্পের অধীনে। আর অন্যন্যরা পান ৪ ০০০ টাকা।
সম্প্রতি এই প্রকল্প নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই প্রকল্পের অধীনে উপভোক্তাদের থাকতেই হবে সিঙ্গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। নইলে টাকা পেতে হলে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। যদিও সরকারি ভাবে এই বিষয়ের ওপর কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন জেলার কৃষি আধিকারিকরা মনে করছেন যে এই পথেই হাঁটবে রাজ্য সরকার। কিছুদিনেই মধ্যেই জারি হবে নির্দেশিকা এমনিটাই মনে করছেন কৃষি আধিকরা। রাজ্যে অন্যান্য প্রকল্পে সিঙ্গেল অ্যাকাউন্টের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও কৃষক বন্ধুর সঙ্গে এই নিয়ম প্রথমবার যুক্ত হতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ IFAJ 2023: “মাস্টার ক্লাসে”র হাত ধরে কৃষকদের কণ্ঠ হবে কৃষি সাংবাদিকরা
তাই পরবর্তী কিস্তির টাকা পেতে হলে অবশ্যই বানাতে হবে সিঙ্গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ব্যাঙ্কে গিয়ে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট সহজেই করা যাবে। এর জন্য একটি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। সঙ্গে নিয়ে জেতে হবে প্যান কার্ড এবং আধার কার্ড। নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার পর অবশ্যই যোগাযোগ করতে হবে স্থানীয় কৃষি দফতরে। অনেক কৃষক আছেন যারা নতুন এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক। তবে সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট না থাকলে যে এখনই টাকা পাওয়া বন্ধ হবে এমনটা নয়। ধিরে ধিরে এই প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হবে। আর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরই এই নতুন নিয়ম প্রজ্যজ্য হবে।
আরও পড়ুনঃ লাভের নয়া দিশা দেখাচ্ছে লবঙ্গ চাষ
রাজ্যের নোডাল অফিসার জানিয়েছেন, সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট করার বিষয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আপাতত কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যা এড়াতে এই পথেই আগামী দিনে হাঁটবে সরকার। রাজ্যের অন্যান্য প্রকল্পেও এই নিয়ম রয়েছে। পুরনো উপভোক্তাদের সেরকম ভাবে কিছু না বলা হলেও নতুন যারা এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক। কিছুদিন আগেই খরিফ মরশুমের টাকা প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। পরবর্তী কিস্তি কবে আসবে সেই আপাতত কোন তথ্য জানায়নি সরকার। এখনও পর্যন্ত যদি টাকা না আসে অবশ্যই যোগাযোগ করুন স্থানীয় কৃষি দফতরে।