প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) প্রকল্প নিয়ে উঠে আসছে বেনিয়মের অভিযোগ। আবাস যোজনা সুবিধাভোগীদের তালিকায় উঠে আসছে দোতলা-তিনতলা বাড়ি মালিকের নাম। এবার থেকে হবে না আর কারচুপি। কারন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) প্রকল্পের কাজ নিয়ম মেনে হচ্ছে কিনা ক্ষতিয়ে দেখবে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকার মনোনীত সাংসদের নেতৃত্বে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় একটি করে নজরদারি কমিটি গঠন করা হবে। এবং ওই কমিটিই তদারকি করে দেখবেন কোথায় আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে কিনা।
আবাস যোজনার দুর্নীতি রুখতেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারী প্রকল্পে স্বচ্ছতা আনতে আরও কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র, সেগুলি হল- অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ওমবুড্সম্যান, গ্রিভ্যান্স সেল চালু করা, সিএজি অনুমোদিত সংস্থাকে দিয়ে আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) অডিট করানো। এছাড়াও ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের ১০ শতাংশ বাড়ি ঘুরে দেখতে হবে। এবং জেলা আধিকারিকদের ২ শতাংশ বাড়ি ঘুরে দেখতে হবে। এছাড়াও সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর বাড়ি কতটা সম্পন্ন হয়েছে তা ছবি সহ আবাস অ্যাপে আপলোড করতে হবে। এই সব কিছুই উচ্চপদস্থ অফিসারদের রিপোর্টের মাধ্যমে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতি রুখতেই নতুন প্রন্থা অবলম্বন করছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুনঃ কৃষকবন্ধু প্রকল্পে বড় আপডেট, জানুন কবে ঢুকবে প্রকল্পের টাকা
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি প্রাপকদের তালিকা সম্পূর্ণ ত্রুটি মুক্ত ভাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ১৫ দফা শর্ত আরোপ করা হয়েছে। ওই শর্তের মধ্যে রয়েছে-
পরিবারের কোনো ব্যাক্তি যদি অতিতে ইন্দিরা আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলি আবাসন প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন তাহলে এই নয়া প্রকল্পে তাঁরা সুযোগ পাবেন না।
আপনার পাকা বাড়ি থাকলে, সরকারি আবাসন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায় না।
৫০ হাজার টাকা ঋণ নেওয়া ক্ষমতা সম্পন্ন কিষান ক্রেডিট কার্ড থাকলেও আবেদন করা যাবে না।
আড়াই একরের বেশি কৃষিজমি বা ব্যবসার জন্য ব্যবহৃত অকৃত্রিম জমি বা জায়গা থাকলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে নাম বাদ পড়বে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তার নাম চিহ্নিত করার সময় দেখে নিতে হবে তাঁর পরিবারের মাসিক আয়। পরিবারের কেউ সরকারি চাকরি করেন কিনা। আয়কর বা বৃত্তিকর প্রদান করে কিনা।