পাসপোর্ট বর্তমান সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি। আপনি যদি ভারতের বাইরে বিদেশ ভ্রমণে যেতে চান, তাহলে আপনার পাসপোর্ট থাকাতে হবে।এটা ছাড়া আপনার যাত্রা সম্ভব হবে না। এছাড়া পাসপোর্ট অনেক জায়গায় কাজে লাগে। একটা সময় ছিল যখন পাসপোর্ট পেতে মানুষকে অনেক চিন্তা করতে হতো। কিন্তু এখন পাসপোর্টের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা এবং জনগণের সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পাসপোর্ট পাওয়ার কাজকে খুবই সহজ করে দিয়েছে। এখন ঘরে বসেই পাসপোর্টের জন্য় আবেদন করা যাবে। এ ছাড়া এখন ই-পাসপোর্ট সেবাও চালু করেতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ এখন পাসপোর্ট নিয়ে কোথাও ভ্রমণ করতে হবে না।সেই সঙ্গে হারানোর চিন্তাও আর থাকবে না। তাহলে চলুন জেনে নেই ই-পাসপোর্ট কেমন হবে এবং কিভাবে কাজ করবে...
ই-পাসপোর্ট কেমন হবে?
ই-পাসপোর্ট সাধারণ পাসপোর্টের একটি ডিজিটাল সংস্করণ।এতে ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ থাকবে। এছাড়াও,এটি পাসপোর্ট ধারকের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা তথ্য সংরক্ষণ করবে।পাসপোর্টধারীর নাম, জন্ম তারিখ এবং অন্যান্য তথ্য মাইক্রোচিপে সংরক্ষিত থাকে।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের ঋণ সংক্রান্ত 'সুসংবাদ', মোদী সরকার দিতে পারে আরও একটি উপহার
কি লাভ হবে?
ই-পাসপোর্ট চালু হলে দীর্ঘ লাইনের প্রয়োজন হবে না।এছাড়া ইমিগ্রেশন কাউন্টারে কয়েক মিনিটের মধ্যে ই-পাসপোর্ট স্ক্যান করা যাবে। শুধু তাই নয়, এটি জাল পাসপোর্টের ব্যবসাকেও রোধ করবে, কারণ মাইক্রোচিপের ডেটা টেম্পার করা যাবে না।
ই-পাসপোর্ট খুবই নিরাপদ
ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হওয়ার পর সাধারণ পাসপোর্ট,যা আমরা এখন পর্যন্ত ব্যবহার করে আসছি, তা হারিয়ে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া, ছিঁড়ে যাওয়া ইত্যাদি ঝামেলা থেকে মুক্ত হবে।এটির সাথে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্যও এখন আরও সুরক্ষিত হবে।
নতুন পদ্ধতিতে কি ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে?
এখন এমন পরিস্থিতিতে আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে এটি তৈরি করার জন্য কি অন্য কোনো প্রক্রিয়া থাকবে?তাই বলে রাখি,এরকম কিছু হবে না।তথ্য অনুযায়ী, নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া একই থাকবে এবং আবেদনপত্রেও কোনো পরিবর্তন হবে না।