প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়ে গেলে তাদের আর্থিক ক্ষতি থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ‘বাংলা শস্য বীমা যোজনা’ প্রকল্প প্রচলন করেছে।এই প্রকল্পের আওতায় সরকার কৃষকদের ফসলের প্রিমিয়াম প্রদান করবে। কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং অন্যান্য কারণে কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে গেলে তার ক্ষতিপূরণের উদ্দেশ্যে এই বীমার প্রচলন করেছে সরকার। তাই সকলেরই এই বীমা গ্রহণ করা জরুরী। সরকার ও বীমা সংস্থাগুলির মধ্যে চুক্তি অনুসারে, সকল বীমা সংস্থা প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লকে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করছে।
বিগত বছরে মহামারী পরিস্থিতিতে সরকার কৃষকদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। আর্থিক সহায়তার জন্য ফসলের বীমা করলে প্রিমিয়ামের খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে অথবা কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত কৃষকদের বীমা সরাসরি হয়ে যাবে। অবশিষ্ট কৃষকদের ফসলের বীমার জন্য যোগাযোগ করতে হবে এই নম্বরে – ১৮০০-৫৭২-০২৫।
আপনার নাম কি রয়েছে এই প্রকল্পে? পরীক্ষা করুন নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে।
স্থিতি পরীক্ষা
নিজের নাম তালিকায় রয়েছে কি না অথবা স্থিতি পরীক্ষা করতে বাংলা শস্য বীমা পোর্টাল- https://banglashasyabima.net/ -এ লগ ইন করুন এবং এখানে কৃষক নিজের ভোটার কার্ড নম্বর দিয়ে স্থিতি যাচাই করতে পারেন।
বিশেষ সুবিধা
-
কেসিসি(Kisan Credit Card) থাকলে লোণ এবং বীমা দুটির জন্য আবেদন করাই সহজ হবে। তবে নতুন নির্দেশিকা অনুসারে কেসিসি না থাকলেও এই বীমা করা যাবে।
-
বিগত বর্ষ থেকেই রবি মরসুমে বোরো ধান, গম, মুসুর, সরিষা, তিল, চীনাবাদাম এবং আলু- এই শস্যগুলি বীমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
-
শুধুমাত্র আলু এবং আখ এই দুটি বাণিজ্যিক ফসলের জন্য কৃষককে সর্বাধিক ৪.৮৫% প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। অবশিষ্ট প্রিমিয়াম রাজ্য সরকার বহন করবে।
কারা আবেদনের যোগ্য
-
কৃষককে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
-
এই স্কিম অনুসারে, আবেদনকারীরা ফসলের ক্ষতির সম্মুখীন হলে কেবল বীমা কভারেজ পাবেন বলে সুবিধাভোগীকে কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতির সঠিক প্রমাণ এবং জমির দলিল সহ প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ "সুফল বাংলা"র সুফল কি পাচ্ছেন বাংলার কৃষকরা ?
কোথায় কোথায় পাওয়া যাবে এই সুবিধা
সরকারি তথ্য অনুযায়ী,দার্জিলিং,কালিম্পং,পূর্ব বর্ধমান,পশ্চিম বর্ধমান,পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহ,হুগলী,নদিয়া,মুর্শিদাবাদ,কোচবিহার,বীরভূম,পুরুলিয়া,দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা ইত্যাদি জেলায় এই সুবিধা উপলব্ধ।