কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল। কৃষি একটি অনিশ্চয়তার কাজ, যেখানে কখনও আবহাওয়ার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে যায় তো আবার কখনও পোকামাকড় ও রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে। সরকার কৃষি কাজে কৃষকদের প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তার জন্য অনেকগুলি প্রকল্পও চালায়, তবে কখনও কখনও এই প্রকল্পগুলির সুবিধা নিতে সমস্যা হয়। এই ধরনের সমস্ত সমস্যা কৃষকদের প্রাধান্য দেয়।অনেক সময় এসব সমস্যা সমাধানের জন্য কৃষকদের সরকারি অফিসে যেতে হয়, যাতে অনেক টাকা খরচ হয়।
অনেক কৃষকই জানেন না যে ঘরে বসেই এ জাতীয় সমস্ত সমস্যা সমাধান করা যায়। হ্যাঁ. কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক কৃষকদের জন্য কিষাণ কল সেন্টারের খুলতে চলেছে, যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।এই হেল্পলাইন নম্বরে কল করে কৃষকরা তাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
কিষাণ কল সেন্টারের হেল্পলাইন নম্বর কি?
কিষাণ কল সেন্টারের বিনামূল্যে হেল্পলাইন পরিষেবা কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক ২১ জানুয়ারী, ২০০৪-এ শুরু করেছিল, যার অধীনে টোল ফ্রি নম্বর- 18001801551 ও জারি করা হয়েছে। এখানে কল করার জন্য কৃষককে চার্জ করা হবে না।
শুধু তাই নয়, এই নম্বরে প্রায় ২২ টি ভাষায় তথ্য দেওয়া হয়েছে, যা কৃষকদের জন্য খুবই সুবিধাজনক বিকল্প। এখানে কল করলে, সমস্যা গুরুতর হলে বিশেষজ্ঞের সাথে সরাসরি কথা বলা হয়।
কৃষকরা যদি কৃষিকাজ, উদ্যানপালন, পশুপালন, মৎস্য চাষ, মৌমাছি পালন, কৃষিকাজ বা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে গিয়ে কোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে কিষাণ কল সেন্টার হেল্পলাইনে কল করে সাহায্য নিতে পারবেন।
কিষাণ কল সেন্টারে স্থানীয় আবহাওয়ার তথ্যও পাওয়া যাবে। দেশে প্রায় ১৩টি কৃষক কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে কৃষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য ১১৩ টিরও বেশি কৃষি বিশেষজ্ঞ নিযুক্ত আছেন। মুম্বাই, কানপুর, কোচিন, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, চণ্ডীগড়, জয়পুর, ইন্দোর, কলকাতা, দিল্লি, আহমেদাবাদেও কিষান কল সেন্টারের শাখা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ধান ক্রয় বাড়ল ১০ শতাংশ,নতুন রেকর্ড গড়ল এই রাজ্যগুলি
কৃষকদের কারা সাহায্য করবে?
প্রথমে কিষাণ কল সেন্টারের হেল্পলাইন নম্বর- 18001801551 -এ একটি কল করতে হবে । এরপর ফোনে রাজ্যের নাম জানতে চাওয়া হবে। ফোনে এজেন্ট আপনার নাম, জেলা এবং ব্লক জিজ্ঞাসা করবে। এর পর কৃষককে প্রশ্ন করা হবে।
কৃষকের সমস্যা যদি অধিক গুরুতর হয়, তবে উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের সাথে আলোচনা করা হবে, যাতে রাজ্যের কৃষি বিভাগ থেকে ভারতীয় কৃষি গবেষণার বিশেষজ্ঞরা জড়িত। কৃষকরা চাইলে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।