ভারতের অর্থনীতির একটি বড় অংশ কৃষি উপর নির্ভরশীল। দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ কৃষির সঙ্গে জড়িত । ভারতের কৃষকদের অবস্থা খুবই খারাপ । বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ও উদ্যোগ সত্ত্বেও কৃষকদের অবস্থার উন্নতি হয়নি।
কৃষিকাজ করতে গিয়ে কৃষকদের নানা ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়। তাদের ফসলের মান কেমন হবে তা নির্ভর করে আবহাওয়া চক্র ও বৃষ্টিপাতের উপর। প্রতি বছরই আবহাওয়ার রোষানলে পড়তে হয় ভারতের কৃষকদের।
আরও পড়ুনঃ যুবক পাবেন ৪ হাজার টাকা! প্রধানমন্ত্রীর প্যানেসিয়া সুরক্ষা যোজনার সম্পূর্ণ সত্য কী তা জেনে নিন
এমতাবস্থায় কৃষকরা গ্রামের ধনী ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হয়, যার সুদের হার অনেক বেশি। এমন পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে ঋণের ভারে চাপা পড়ে যায় কৃষক। এ কারণে তার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। কৃষকদের এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৯৮ সালে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড চালু করেছিল । চলুন জেনে নেই সে সম্পর্কে-
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে, কৃষকরা খুব কম সুদে ৩ লক্ষ টাকা ঋণ পেতে পারেন। আপনি যদি কৃষি সংক্রান্ত ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত হন, তাহলে আপনি কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ বাংলার ভূমি কি? কিভাবে দেখবেন আপনার জমির রেকর্ড,জেনে নিন বিস্তারিত
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদনের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। এবং সর্বোচ্চ বয়স ৭৫ বছর। ভারতে বিপুল সংখ্যক মানুষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করছে।
যদি আপনার কাছে ভোটার আইডি কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট ইত্যাদির মতো প্রয়োজনীয় নথি থাকে তবে আপনি কিষান ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।
এছাড়াও কিষাণ ক্রেডিট কার্ড নিতে হলে জমির নথি থাকতে হবে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ঋণ পাওয়া যায় খুব কম সুদের হারে। এমতাবস্থায়, এই কার্ডের মাধ্যমে, আপনি কৃষি সংক্রান্ত আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারেন।