কৃষিজাগরন ডেস্কঃ কীটনাশক প্রস্তুতি ও ম্যানুফ্যাকচারিং-এর লাইসেন্স নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতায় পরিবর্তন আসতে চলেছে। নতুন নিয়ম অনুযাযী এখন লাইসেন্সের মেয়াদ দুই বছরের পরিবর্তে চার বছর করা হয়েছে।কীটনাশক বিধিমালা, ১৯৭১ এর ৯ নং বিধির উপ-বিধি ৪খ-তে সংশোধনীর মাধ্যমে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনও ব্যাক্তি কীটনাশক উৎপাদন করার জন্য লাইসেন্স তৈরি করতে চান তবে সেই ব্যাক্তির অবশ্যই কৃষি বিজ্ঞান বা কৃষি রসায়নে ডক্টরেট ডিগ্রি বা টেকনোলজিতে মাস্টার্স বা রাসায়নিক প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। এছাড়াও কৃষি বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি বা রসায়নের একটি বিষয় হিসাবে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি থাকলেও তিনি কীটনাশক উৎপাদনের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ Jalpaiguri News:বিক্ষোভের পর সম্পূর্ন রেশন,আশ্বাস খাদ্য দফতরের
১৮ এপ্রিল,২০২৩-এ ভারতের প্রাসঙ্গিক গেজেটে বিজ্ঞাপিত কীটনাশক (প্রথম সংশোধনী) বিধিমালা, 2023-এর অধীনে বলা হয়েছে যে যদি কারও লাইসেন্স থাকে, তবে এই প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের জন্য তার বা তার চার বছর থাকতে হবে। যাদের অত্যাবশ্যক শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে তাদের কোম্পানিতে নিয়োগের জন্য এক বছর সময় দেওয়া হবে।
আগে দেশে কীটনাশক তৈরিতে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো মানদন্ড ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৯ সালে জারি করা সংশোধিত কীটনাশক বিল ১৯৭১-এর বিধি ৯-ক অনুযায়ী শুধুমাত্র লাইসেন্সিং অফিসার দ্বারা উত্পাদনের অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া লাইসেন্সের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রতিটি কীটনাশকের জন্য ২০০০ টাকা এবং সমস্ত কীটনাশকের জন্য ২০,০০০ টাকা দিতে হবে। আগে শুধু কীটনাশক ব্যবসা করে এমন ব্যাক্তিদের লাইসেন্স দেওয়ার বিধান ছিল।