কৃষকরাই হচ্ছে দেশের মেরুদণ্ড। এই কথা যেমন ভারতের আবালবৃদ্ধবনিতা জানে, তেমনই সরকারের তরফেও এই বার্তা নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই। বর্তমান সরকার কৃষকদের সুবিধা অসুবিধার কথা ভেবে অনেক রকমের নিয়ম-নীতি এবং প্রকল্প চালু করেছে। দেশের কৃষিজীবী সম্প্রদায়কে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ আখেরে লাভ দেবে চাষিদেরই।
যোজনার লক্ষ্য (Aim of scheme)
জৈব পদ্ধতিতে কৃষিকাজ যাতে চাষিরা আরও বেশি পরিমাণে করেন তাতে জোর দিতে সূচনা হয়েছে, পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনার। জৈব পদ্ধতিতে চাষবাসের উপর জোর এবং উৎপাদিত পণ্য রফতানিতে সুবিধা আনার জন্যই এই বিশেষ কর্মূসূচি মেনে চলা হচ্ছে। কৃষিজমিকে উর্বর করে তোলার জন্য ও ক্ষতিকর রাসায়নিক থেকে ফসলকে বাঁচানোর জন্য এবং উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতি আরোপ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে জৈব পদ্ধতিতে কৃষকদের চাষবাসে উৎসাহ দিতে কৃষকদের আর্থিক ভাবে সাহায্যও করা হচ্ছে। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে কেন্দ্র 'পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা' প্রকল্পটি চালু করে। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পটির ৬০% খরচ বহন করবে, আর কেন্দ্র ৪০%।
যোজনার সূচনা (Starting of Yojna)
এই প্রকল্প শুরু হওয়ার প্রথম বছরগুলিতে ১০ হাজার ক্লাস্টার গড়ে ৫ লক্ষ একর জমিকে জৈব চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ছাড়াও আরও বেশ কিছু জেলায় ক্লাস্টারগুলি গঠন করা হয়। প্রতি ক্লাস্টারের জন্য প্রথম তিন বছরে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এছাড়াও এই স্কিমের তরফে জৈব সার, জৈব কীটনাশক, কৃষি উপকরণ ছাড়াও কারিগরি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের।
বর্তমানে রাজ্য সরকার গোবিন্দভোগ, তুলাইপাঞ্জি, কালো নুনিয়া প্রভৃতি সুগন্ধী ধান চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বাইরের দেশে এই সমস্ত চালের চাহিদা আছে। আমেরিকা, ইউরোপে কৃষি পণ্য রফতানির জন্য জৈব পদ্ধতিতে চাষ বাধ্যতামূলকও করা হয়েছে। এ কথা অস্বীকারের কোনও জায়গায় নেই, জৈব চাষ বৃদ্ধি পেলে, ফসল রফতানির ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে। এর ফলে কৃষকদের স্বাভাবিক ভাবেই আয় বাড়বে।
আরও পড়ুন: Hilsa Fish Farming: ইলিশ মাছ চাষ পদ্ধতির কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য
কৃষিজীবী মানুষদের আয় বাড়াতে সরকার সদা সচেষ্ট। কৃষিক্ষেত্রে ঋণদানের পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে চাষিরা সুবিধাজনক হার ও শর্তে ঋণ লাভ করতে পারবেন। প্রযুক্তির ব্যবহারেও কৃষকরা আজ অনেক এগিয়ে গেছে। কেন্দ্রের ডিজিটাল ইন্ডিয়া আওতায় আজ বহু কৃষক। সরকারের বিভিন্ন নিয়ম-নীতি- কৃষি বিষয়ক কৌশল সহজেই চাষি ভাইয়েরা মোবাইলে পাওয়া সরকারি মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারছেন।
আরও পড়ুন: Increasing Clean Milk production: গরুর খাঁটি দুধ উৎপাদন বাড়ানোর সহজ কিছু পদ্ধতি