প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) নিয়ে জেলায় জেলায় উঠে আসছে দুর্নীতির খবর। আবাস যোজনার তালিকায় যে সমস্ত ব্যক্তির নাম রয়েছে তাদের হাতে প্রতিনিয়ত হেনস্থার শিকার হচ্ছে পঞ্চায়েত কর্মী, আশা কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিভাগের সরকারি আধিকারিকরা। এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি প্রাপকদের তালিকা সম্পূর্ণ ত্রুটি মুক্ত ভাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ দফা শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের জারি করা ১৫ দফা শর্তের মধ্যে রয়েছেঃ
পরিবারের কোনো ব্যাক্তি যদি অতিতে ইন্দিরা আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলি আবাসন প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন তাহলে এই নয়া প্রকল্পে তাঁরা সুযোগ পাবেন না।
আপনার পাকা বাড়ি থাকলে, সরকারি আবাসন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায় না।
৫০ হাজার টাকা ঋণ নেওয়া ক্ষমতা সম্পন্ন কিষান ক্রেডিট কার্ড থাকলেও আবেদন করা যাবে না।
আড়াই একর বা তার বেশি কৃষিজমি, কৃষি সরঞ্জাম বা অন্য কোনও ধরনের গাড়ি বা ব্যবসার জন্য ব্যবহৃত অকৃত্রিম জমি বা জায়গা থাকলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে নাম বাদ পড়বে।
আরও পড়ুনঃ ১৩টি দফতরে ৭১৮ কোটি দিল রাজ্য! কৃষি দফতরে ১৫ কোটি, কিন্তু কেন?
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তা নির্বাচনের সময়ে অবশ্যই যাচাই করে নেওয়া হবে ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের জবকার্ড।
এক্ষেত্রে ডুপ্লিকেট কার্ডের সন্ধান মিললেই পোর্টাল অন করে তৎক্ষণাৎ ব্লক করতে হবে।
আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, প্রাণিবন্ধু, গ্রামীণ পুলিশ ও গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। যারা উপভোক্তাদের বিষয়ে সার্বিক দিক ক্ষতিয়ে দেখবে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তার নাম চিহ্নিত করার সময় দেখে নিতে হবে তাঁর পরিবারের মাসিক আয়। পরিবারের কেউ সরকারি চাকরি করেন কিনা। আয়কর বা বৃত্তিকর প্রদান করে কিনা।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে সঠিক সুবিধা দিতেই এই শর্ত মেনে গরিব মানুষদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য প্রতিটি গ্রাম ধরে ধরে ৪৯ লাখ ২২ হাজার নাম নথিভুক্ত রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে রাজ্যে ১১,৩৬,৪৮৮ টি বাড়ি তৈরির অনুমতি দিয়েছে। তবে সমস্ত নিয়ম মেনে যোগ্য ব্যক্তিদেরই এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে যদি কোনো ব্যাক্তি সুপারিশ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র।