অভিনব মানবিক উদ্যোগের রাজ্য। এখন থেকে প্রসবের সময় তাঁর মা, স্বামী অথবা নিকট আত্মীয় স্বজন প্রসূতির সঙ্গে থাকতে পারবেন। এই লক্ষ্যে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যদিও এই সুবিধাটি বিদেশে এবং রাজ্যের কিছু বেসরকারি হাসপাতালে পাওয়া গেছে। এবার থেকে রাজ্য সরকারি হাসপাতাল, প্রসূতি হাসপাতাল এমনকি জেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে সিজারিয়ান ডেলিভারির ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না।
কেন প্রসব সাথী প্রকল্প
অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা প্রসবের সময় মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যায়। আর প্রসবের আগে এই ধরনের ভীতি প্রসূতির পক্ষে ক্ষতিকারক বলেই মনে করেন চিকিৎসকেরা। সেই সমস্ত কথা মাথায় রেখেই এবার অভিনব উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। প্রসবের পূর্বে এবং পরে অক্সিটোসিন হরমোনের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। অনেক সময় প্রসূতি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে গেলে এই হরমোন উৎপাদন ব্যাহত হয়। ‘কিন্তু সঙ্গে কোনও প্রিয়জন থাকলে অক্সিটোসিন ক্ষরণ অনেকটাই বেড়ে যায়। বুকের দুধ উৎপাদনের মূল চালিকাশক্তিও এই হরমোনের উৎপাদন।
কারা হতে পারবেন প্রসব সাথী?
যে কোনও মহিলা যিনি প্রসূতি মহিলার খুব কাছের। পাশাপাশি প্রসব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন এমন মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রসূতি মহিলার স্বামীও থাকতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি অন্যান্য মহিলাদের আপত্তির কথাও মাথায় রাখতে হবে।
প্রসব সাথী হতে গেলে কোন বিষয়গুলি সম্পর্কে অবগত থাকা প্রয়োজন?
পরিষ্কার জামাকাপড় এবং ভালোভাবে হাত ধুয়ে প্রসব কক্ষে ঢুকতে হবে। প্রসব যন্ত্রণা থেকে শুরু করে সন্তান জন্ম হওয়া পর্যন্ত তাঁকে প্রসব কক্ষে থাকতে হবে। ব্যক্তির মধ্যে কোনও সংক্রমক রোগ থাকা চলবে না।
প্রসব সাথী হতে গেলে কি করতে হবে?
প্রথমে হাসপাতালে গিয়ে একটি ফর্ম ফিলাপ করে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। নিজের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, অন্তঃসত্ত্বা মহিলার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক ইত্যাদি সম্পর্কে লিখে ফর্মটি জমা দিতে হবে। তারপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহমত দিলে তবেই হওয়া যাবে প্রসব সাথী।