সাধারণ মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার বহু প্রকল্প নিয়ে এসেছে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম চর্চিত প্রকল্প হল আবাস যোজনা প্রকল্প। ইতিমধ্যেই বহু গ্রাহক এই প্রকল্পের অধীনে ফর্ম ফিলাপ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন একটায় কবে আসবে আবাস যোজনার টাকা। কবে তৈরি হবে বাড়ি। সম্প্রতি মমতা সরকার শুরু করেছে চল গ্রামে যাই কর্মসূচী। সেখানে অধিকাংশ গ্রাহকের প্রশ্ন এই প্রকল্প সংক্রান্ত। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি তৈরির অনুমতি দিয়েছে এবং রাজ্য সরকার ‘আবাস প্লাস’ তথ্য ভান্ডারে ৪৯ লক্ষ ২২ হাজার নাম নথিভুক্ত করেছে।
এই বিষয় নিয়েই নড়ে চড়ে বসল মমতা সরকার। এই প্রকল্প সংক্রান্ত ১৫ দফা গাইড লাইন প্রকাশ করা হয়েছে নবান্নর তরফে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ভালো করে যাচাই যিনি এই প্রকল্পে আবেদন করেছেন তাঁর পরিবারের কারোর পাকা বাড়ি রয়েছে কি না। ইন্দিরা আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলী বা এই ধরনের কোনও প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন কি না। পাশাপাশি যিনি এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করছেন তাঁর কতটা দরকার এই বাড়ির সেই বিষয়েও সঠিক যাচাই করতে হবে। ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড আছে কি না সেই বিষয়ে সুনিশ্চিত তথ্য সরকারকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুনঃ জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে শুরু হল তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শিবির
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, প্রাণী বন্ধু, গ্রামীণ পুলিশ,ও গ্রাম পঞ্চয়েতের কর্মীদের মধ্যে ৫ থেকে ১০ জন নিয়ে একটি দল তৈরি করে এই কর্মসূচি চালাতে হবে। তাঁরা সমস্ত তথ্য যাচাই করে সরকারের কাছে নথিভুক্ত করতে হবে। এছাড়াও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে আবেদনকারীর পরিবারের আয় ১০ হাজারের বেশি হলে নাম বাতিল হবে। পরিবারের কেও সরকারি চাকরি করলেও তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা ঋণের কিষান ক্রেডিট কার্ড থাকলেও এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।
আরও পড়ুনঃ আলুর সঙ্গেই হচ্ছে কুমড়ো চাষ! মিশ্র চাষে লাভের মুখ দেখছে জেলার কৃষকরা