গোটা উত্তরবঙ্গের প্রায় ২০ হাজার পরিবার ক্ষুদ্র চা চাষ আবাদের সঙ্গে যুক্ত। এই ক্ষুদ্র চা চাষীদের জমির পরিমান অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ১ একর এর নীচে এবং ২ একর এর মধ্যে। যার মধ্যে ৪০ শতাংশের মত পরিবার সংগঠিত হয়ে টি বোর্ডের সাহায্য নিয়ে নিজের চা নিজেরাই প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করতে সক্ষম হয়েছে বাকীরা এখনো তা করে উঠতে পারেনি। যারা সংগঠিত হতে পেরেছেন তাদের চা ন্যায্য মূল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই স্বাবলম্বী, কিন্তু যাঁরা এখনো এর বাইরে থেকে গেছেন তাদের মূলতঃ এখনো ফরেদের উপর কিংবা এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা চা এর বাজারকে কব্জা করে এদের দিন দিন প্রতারিত করে চলছেন।
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের একজন ক্ষুদ্র চা চাষী শ্রী ধীরেন্দ্রনাথ দেবশর্মা জানান যে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে চা চাষ করেন, কিন্তু তারা বার বার তাদের ক্ষুদ্র চা চাষী সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন আবেদন জানিয়েও এখনো অবধি সরকার থেকে "তারা যে চাষী" এবং এই চা চাষ করতে গিয়ে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের তারা সহায়তা (বিশেষ করে কে. সি. সি, বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রাংশের অনুদান) পেতে পারেন বা তাদের একান্ত দরকার সেটা আজ অবধি কোনো সরকার বা কোনো মন্ত্রী তাদের কথায় কোনো কর্ণপাত করেন নি। সকলে শুধুমাত্র আশ্বাস দেন কিন্তু "কাজের কাজ কিছুই হয় না"। তাদের এই চা চাষকে "কৃষি কাজ না শিল্প এই দুয়ের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ক্ষুদ্র চা চাষের সম্ভাবনা ও এর উৎসাহ বৃদ্ধিতে ব্যাহত করা হচ্ছে।
- অমরজ্যোতি রায় (amarjyoti@krishijagran.com)