বাঘের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে শরগোল মধ্যপ্রদেশে। পান্না ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের অভয়ারণ্যের একটি গাছ থেকে গলায় তার পেঁচানো অবস্থায় বাঘের দেহ উদ্ধার হয়। অভয়ারণ্যের দায়িত্বে অবহেলার জন্য ডেপুটি ফরেস্ট রেঞ্জার এবং এক জন বিট গার্ডকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুই প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং দুই সপ্তাহের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
ছত্তরপুরের সার্কল কনজ়ারভেটর সঞ্জীব ঝা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, তিলুগা বিটের কাছে একটি গাছ থেকে গলায় তার পেঁচানো অবস্থায় বাঘের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে। অন্য প্রাণীর জন্য পেতে রাখা ফাঁদে বাঘটি আটকে যায়, এবং নিজেকে বাঁচানোর জন্য একটি গাছ বেয়ে উঠতে গেলে পিছলে পড়ে গিয়ে গলায় তার জড়িয়ে গিয়ে মৃত্যু ঘটে। জানা গিয়েছে মৃত বাঘটির ওজন ছিল ২০০ কেজি।
আরও পড়ুনঃ অভিনব পদ্ধতিতে ১ একর জমিতে ১৫০ কুইন্টাল আলু উৎপাদন করে তাক লাগালেন উত্তরপ্রদেশের কৃষক
মধ্যপ্রদেশে ৬ টি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। ৬ টি কেন্দ্র হল- কানহা, বান্ধবগড়, পেঞ্চ, সাতপুরা, পান্না এবং সঞ্জয় দুবরি। এর মধ্যে পান্না টাইগার রিজার্ভ ৫৪২.৭ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। গত জুলাইয়ে একই দিনে দুটি বাঘের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে একটি বাঘের বয়স ছিল ১৩ বছর। এছাড়াও ২০২০ সালে পান্না সংলগ্ন এলাকায় ৮ মাসের মধ্যে ৫ টি বাঘের মৃত্যু হয়েছিল। জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের (এনটিসিএ) তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশে ২০১২ থেকে ২০২২- জুলাইয়ের মধ্যে ২৭০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। শুধু মাত্র ২০২১ সালেই ৪২টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। ২০২২ সালে মৃত্যু হয়েছে ৩২টি বাঘের।
আরও পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষের সূচনা হল রোমের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদর দপ্তরে