‘তাজপাতা’ নামটার সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। তেজপাতাকে আমরা সুগন্ধি মশলা হিসাবেই চিনি। তবে এটি শুধু মশলা হিসাবেই পরিচিত নয়, এর অনেক ঔষধি গুনও আছে। আচ্ছা কখনও ভেবেছেন তেজপাতা বিক্রি করে মুনাফার মুখ দেখা যায়? নিশ্চয় ভাবছেন বর্তমান সময়ে সংসার চালাতে যা খরচা তাতে অন্তত তেজপাতা বিক্রি করে চলবে না। কিন্তু এভাবেও রোজগার করে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হয়ে ওঠা যায়। তারই দৃষ্টান্ত গোসানমারীর বাসিন্দা।
তনাই বর্মণ নামে এক ব্যাক্তি গত ৪০ বছর ধরে তেজপাতা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। দিনহাটা থানার অন্তর্গত গোসানিমারি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভিতরকামতা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। ৬০ বছরে পৌঁছেও তনাই বর্মণ তেজপাতা বিক্রি করে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সুখেই আছেন। সুত্রের খবর অনুযায়ী, দিনহাটা মহকুমা সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে গাছশুদ্ধ তেজপাতা কিনে নিয়ে আসেন তনাই বর্মণ। এই তেজপাতা কিনে আনার পর ৩ থেকে ৪ দিন ধরে রোদে শুখিয়ে বস্তা বন্দি করে তেজপাতার বাজারে নিয়ে গিয়ে তেজপাতা বিক্রি করেন তিনি।
শুকনো তেজপাতা কুইন্টাল প্রতি বাজারমূল্য গড়ে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। সপ্তাহে তিনি কমপক্ষে ২ কুইন্টাল শুকনো পাতা বিক্রি করার চেষ্টায় থাকেন। তাঁর সপ্তাহিক আয় মূলত চার হাজার টাকার কাছাকাছি হয়ে থাকে। তনাই বর্মণ কয়েক দশক ধরে এই ব্যবসা করে চলেছেন। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে তেজপাতা সংগ্রহ করে থাকেন। এবং সেটা নিজ হাতে বাড়িতে নিয়ে এসে বিক্রি যোগ্য করে তোলার জন্য পরিচর্যা করে তবেই বাজারে নিয়ে যান। ষাটোর্ধ্ব এই বৃদ্ধ তনাই বর্মনের যেন এ কাজে ক্লান্তি নেই। এ কাজ তিনি ততন্ত্য আনন্দের সহিত করেন।