এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 28 December, 2021 3:43 PM IST

ভারত মানেই কৃষি ভিত্তিক দেশ। কৃষিকার্যের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে এমন মানুষের সংখ্যা এদেশে প্রচুর। কিন্তু এই দেশের কিছু মানুষের একটি গতানুগতিক ধারণা আছে যে কৃষি মানেই গরিব। শুধু তাই নয় যে কোনও সিনেমা, ম্যাগাজিন, শো সবকিছুতেই কৃষকদের দরিদ্র হিসেবে প্রদর্শন করা হয়। তবে সেই চিন্তাধারা বদলে দিয়েছন বেশ কিছু যুবক। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছেন এই যুবকগুলি। দেশের বিভিন্ন কোনায় রয়েছেন এই কৃষকগুলি। ২০২১ প্রায় শেষের মুখে। আসুন জেনে নিই এই বছরের সেরা ৫ কৃষকের সাফল্যের কাহিনি।

আরও পড়ুনঃ  এই গাছের চাহিদা রয়েছে অনেক , এক হেক্টর চাষ করলে আয় হবে ৭ লাখ টাকা!

সুমের সিং, হরিয়ানা

হরিয়ানার ভিওয়ানির  কৃষক সুমের সিং ১৯৯৯ সাল থেকে চাষ শুরু করেন। অন্যান্য কৃষকদের মতো সুমের সিংও আগে জমিতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ইত্যাদি ব্যবহার করতেন। কিন্তু গত ছয় বছর ধরে জৈব চাষ করে তিনি প্রচুর আয় করছেন সঙ্গে অন্য কৃষকদেরও অনুপ্রানিত করছেন।

সুমের সিং তার ১৪ একর জমিতে জৈব পদ্ধতিতে গম, ছোলা, ডাল সরিষা চাষ করেছেন। সঙ্গে এক একর জমিতে পেঁয়াজ চাষও করেন। এর পাশাপাশি, তিনি পেঁয়াজ সংরক্ষণের একটি অনন্য এবং লাভজনক উপায়ও আবিষ্কার করেছেন। 

সঞ্জীব সিং, পঞ্জাব

সঞ্জীব সিং, 54, পাঞ্জাবের তান্ডা গ্রামের বাসিন্দা।  ১৯৯২ সাল থেকে মাশরুম চাষ করছেন এবং এলাকার লোকেরা তাকে 'মাশরুম রাজা' বলে ডাকে । মাত্র ২৫ বছর বয়স থেকে তিনি সাধারণ চাষের পাশাপাশি মাশরুম চাষ শুরু করেন এবং আজ তিনি সারা দেশে তাঁর কাজের জন্য পরিচিত।

২০০৮ সালে তিনি মাশরুমের বীজ তৈরির জন্য একটি পরীক্ষাগারও করেন এবং বীজ বিক্রি শুরু করেন। এই বীজ তিনি জম্মু, জলন্ধর, হরিয়ানা, হিমাচল এবং অন্যান্য রাজ্যে যায়। বর্তমানে সঞ্জীবের বার্ষিক আয় ১.২৫ কোটি । এমনকি ২০১৫ সালে, রাজ্য সরকার তার প্রগতিশীল চাষ পদ্ধতির জন্য তাকে সম্মানিত করেছিল।

কিষাণ সুমন, রাজস্থান

রাজস্থানের কৃষক কিশান সুমন এবং মধ্যপ্রদেশের কৃষক সংকল্প সিং পারিহার বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম চাষ করছেনএই জাতের আম প্রতি কেজি ২.৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় । কিষাণের ২ একর জমি রয়েছে । তিনি ইউটিউব থেকে আমের এই বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন এবং নিজেই চাষ করা শুরু করেন। তারপর তিনি আপাতত সাফল্যের শিখরে।

আরও পড়ুনঃ  ২০২২ এ শুরু করুন এই ব্যাবসা গুলি, পাবেন সরকারি সহায়তা এবং উপার্জন করুন লাখ টাকা

জিতেন্দ্র চৌধুরী, উত্তরপ্রদেশ

গাজিয়াবাদের (উত্তরপ্রদেশ) মুরাদনগরের খুরামপুর গ্রামের বাসিন্দা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে মাস্টার্স করেছেন। তারপর তিনি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ২০০৯ সালে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগে মুক্তার চাষ শুরু করেন । জিতেন্দ্র কিছু অনলাইন গবেষণা করেছিলেন এবং তারপরে প্রক্রিয়াটি আরও ভালভাবে বোঝার জন্য সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্রেশওয়াটার অ্যাকুয়াকালচার (সিআইএফএ) , ওডিশা- তে একটি কোর্সের জন্য নিবন্ধিত হন । জিতেন্দ্র মুক্তা চাষে 95% পর্যন্ত সাফল্য পেয়েছেন এবং আজ তিনি এটি থেকে ভাল মুনাফাও অর্জন করছেন।

জাকির মুল্লা ও শামশাদ জাকির হোসেন মুল্লা, গুজরাট

গুজরাটের নবসারির বাসিন্দা কৃষক জাকির মোল্লা ও তার স্ত্রী শামশাদ জাকির হুসেন মুল্লা জৈব উপায়ে গোলাপ থেকে মুখে লাগানোর জন্য গুলকন্দ, গোলাপজল এবং 'ফেসপ্যাক' তৈরি করেন। আর এর থেকে প্রতি মাসে ২৫ হাজারেরও বেশি টাকা উপার্জন করেন। এই দম্পতি ১০০০ টি ভিন্ন জাতের গোলাপ নিয়ে নিজেদের জমিতে চাষ করেন। আর সেখান থেকে আজ 'অর্গানিক শামা গুলকন্দ ' একটি  ব্র্যান্ড।

English Summary: Best of 2021: Progressive Farmers, Whose Innovative Farming Techniques Were Loved By Thousands!
Published on: 28 December 2021, 03:42 IST