এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 10 May, 2020 9:17 PM IST

পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হৃদয়পুরে বাড়ি দীপন বিশ্বাসের। ২০০৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর মধ্যমগ্রামে এপিসি কলেজ থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিশ এন্ড ফিশারিজ্‌ নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। ২০১১ সালে পাশ করার পর মাছের খাদ্য ও ওষুধের ব্যবসা শুরু করেন। তারপর সিআইএফএ (CIFA) থেকে মাছ চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন ধরণের মাছ চাষ শুরু করেন। প্রথমে আট বিঘা জলাশয় লিজ নিয়ে তিনি রুই, কাতলা, মৃগেলের পাশাপাশি চিংড়ি, কই, তেলাপিয়া সহ কাঁকড়া চাষ শুরু করেন। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসের কারণে উন্নত মানের ডিম পোনা না পাওয়ায় তিনি সমস্যায় পড়েন। তিনি জানিয়েছেন, তার এলাকায় মাছের চারা পাওয়া কষ্টসাধ্য ।

তিনি নিজের এবং এলাকার অন্যান্য চাষীদের সমস্যার সমাধান করতে ২০১৪ সাল থেকে ডিম পোনা তৈরির কাজ শুরু করেন। এরপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৬ সালে ৫০ বিঘা জমি ১০ বছরের জন্য লিজে নেন।

বর্তমানে তিনি বিঘা জলাশয়ে কাঁকড়া, ৬ বিঘা জলাশয়ে ভেনামি চিংড়ি, ৬ বিঘা জলাশয়ে বাগদা চিংড়ি ও বাকি ৩৫ বিঘা জলাশয়ে তেলাপিয়া, রুই, কাতলা ও কই মাছ চাষ করেন। তিনি জানিয়েছেন যে, কাঁকড়া চাষ করেছেন দুরকম পদ্ধতিতে- সফট সেল ও হার্ড সেল। ভিয়েতনাম থেকে বাক্স এনে জলের উপরে ভাসমান অবস্থায় চাষ করছেন সফট সেল ক্রাফট্‌ আর জলের নিচে চাষ করছেন হার্ড সেল ক্রাফট্‌। একই পুকুরে জলের ওপরে ও নিচে কাঁকড়া চাষ করে নজির গড়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার উদ্যমী যুবক দীপন বিশ্বাস ।

সম্প্রতি মাছ চাষ করে তিনি ভালোই মুনাফা অর্জন করছেন। তাকে দেখে উৎসাহিত হয়েছে অন্যান্য চাষীরাও। আর্থিক দিক থেকে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে অনেক চাষীই অবলম্বন করছেন তার পন্থা। তবে চিংড়ি মাছ চাষের সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।

যেমন, অনেক সময় রোগের কারণে চিংড়ি মাছের মাথায় ও ফুলকাতে কালো দাগ দেখা যায়। জলাশয়ের তলদেশে গ্যাস জমা হলে এই রোগ হতে পারে, অথবা অতিরিক্ত খাদ্য পুকুরের তলদেশে জমা হলে, তা জলজ প্রাণীর ওপর প্রভাব ফেলে। এই রোগের প্রতিকারের জন্য পুকুরের জল পরিবর্তন করতে হবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে পরিমাণ অনুযায়ী ডলোমাইট প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও অনেক সময় চিংড়ির খোলস নরম হয়ে যাওয়া বা মাছের ফুলকা পচা, অথবা অন্যান্য ছত্রাকজনিত রোগের আক্রমণ ঘটে। সেক্ষেত্রে দেরী না করে তৎক্ষণাৎ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে হবে। মনে রাখবেন, শুধু শ্রমই নয়, দরকার সতর্কতাও, তবেই চাষী চাষে লাভবান হবেন।

স্বপ্নম সেন

English Summary: By Cultivating Fish, This Farmer Earned A Profit Of Rs. 3 lakh
Published on: 10 May 2020, 09:17 IST