দেশের কৃষি ক্ষেত্র দ্রুত আধুনিকতা এবং সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা এখন দ্বীগুন লাভ করছেন। সফল কৃষকদের এই সিরিজে, আজ আমরা আপনাকে এমনই এক কৃষকের গল্প বলব, যিনি সেচের পদ্ধতি পরিবর্তন করেছেন এবং আজ তিনি তার খরচ কমিয়ে চাষ থেকে ভাল মুনাফা অর্জন করছেন। আমরা প্রগতিশীল কৃষক মহেন্দ্র সিং-এর কথা বলছি, যিনি হরিয়ানার কাইথাল জেলার বাসিন্দা। তার প্রায় ৫৫ একর জমি রয়েছে, যাতে তিনি খরিফ ও রবি শস্য চাষ করেন।
এর পাশাপাশি মহেন্দ্র সিং তার জমিতে বাগান করেছেন। কৃষিজাগরনকে তিনি জানিয়েছেন, সেই বাগানে তিনি পেয়ারা, আম ও লেবুর গাছ লাগিয়েছেন। কৃষক মহেন্দ্র সিং জানান, তিনি অর্ধেক একর জমিতে আম ও এক একরে পেয়ারা চাষ করেন।
চাষ পদ্ধতি পরিবর্তন করে লাভ বৃদ্ধি
মহেন্দ্র সিং জানান, চাষাবাদ থেকে ভালো লাভের জন্য তিনি সর্বপ্রথম চাষের খরচ কমানোর প্রতি নজর দেন।এর জন্য তিনি সেচ পদ্ধতি পরিবর্তন আনেন। তিনি ড্রিপ পদ্ধতিতে তাঁর জমিতে সেচ দিতে শুরু করেন, যার ফলে আজ তার লাভ আজ বহুগুণ বেড়েছে। তবে খামারের কিছু অংশে তিনি সনাতন পদ্ধতিও অবলম্বন করে চাষ করেন। কৃষক মহেন্দ্র সিং বলেন, যে তিনি কৃষি সংক্রান্ত বেশিরভাগ কাজ সময়মতো সম্পন্ন করতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। এতে সময় বাঁচানোর পাশাপাশি লাভও হয় দ্বীগুন।
আরও পড়ুনঃ জৈব চাষ করে আইনজীবী তার ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন, আজ তাঁর বার্ষিক লাভ ১২ লক্ষ টাকা
সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যেমে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ভর্তুকি নিয়ে কৃষক মহেন্দ্র সিং চাষের জন্য অত্যাধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কিনেছেন।
সরকারি পোর্টালের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করুন
মহেন্দ্র সিং তাঁর ফসল বিক্রি করার জন্য তাঁকে খুব বেশি এদিক ওদিক ছোটা ছুটি করতে হত না। কারণ তিনি হরিয়ানা সরকারের 'মেরি ফাসাল মেরা বয়োরা' পোর্টালে নিবন্ধন করে তার ফসল বিক্রি করতেন। তিনি বলেন, এই পোর্টালের কারণে দালাল রাজের অবসান হয়েছে এবং কৃষকরা পোর্টালে তাদের ফসলের খুব ভালো দাম পাচ্ছেন। তাই এখন বেশিরভাগ কৃষকই পোর্টালের মাধ্যমে তাদের ফসল বাজারে বিক্রি করতে পারছেন।
বার্ষিক মুনাফা ২০ লাখের বেশি
বার্ষিক খরচ ও লাভের কথা বললে কৃষক মহেন্দ্র সিং বলেন, প্রতিটি ফসলের আলাদা খরচ থাকে। কিন্তু তারপরও, যদি অনুমান করি, ৫৫ একর জমিতে উভয় মৌসুমের ফসল (খরিফ এবং রবি) এবং উদ্যান ফসলের বার্ষিক খরচ হয় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। এবং তাঁর বার্ষিক লাভ ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা।