বিমানবন্দরের চাকরি ছেড়ে মাছ চাষ! শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি কথা বলতে কী বায়োফ্লক পদ্ধতিতে চাষ করে ভাঙড়ের বাসিন্দা পায়েল মৃধা বর্তমানে, আগের থেকে অনেক বেশি উপার্জন করছেন। শান্তিপুর থেকে পায়েল ও তাঁর স্বামী বায়োফ্লক মাছ চাষ পদ্ধতি শিখে এসে বিগত আট মাস ধরে চালাচ্ছেন এই ব্যবসা। সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে জিয়ল মাছের চাষ করছেন পায়েল। স্বামী বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত হওয়ায়, বেশি সময় দিতে পারেন না ব্যবসায়। তাই নিজের শ্বাশুড়ির সঙ্গেই জুটি বেঁধে সাফল্যের সঙ্গে জিয়ল মাছের চাষ ও ব্যবসা নিয়ে মেতে রয়েছেন পায়েল।
সরকারের তরফ থেকেও ওই গৃহবধূকে সবরকমের সাহায্য করা হয়েছে এই বিশেষ উপায়ে মাছ চাষে। পায়েল ৮ লক্ষ টাকা ঋণও পেয়েছেন সরকারের তরফ থেকে। যার ৬০% ঋণ সাবসিডি হিসাবে দেওয়া হয়েছে। গোটা জেলায় সবার প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়ায় পায়েলকে প্রশাসনের তরফে স্বীকৃতিও জানানো হয়েছে।
পায়েল বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শিখে বাড়ির চৌবাচ্চাতেই জিয়ল মাছের চাষ শুরু করেন। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পায়েল নিজেই জানিয়েছেন, যে কেউ এই চাষ শুরু করতে পারেন। ঘরের কাজ সামলে বাড়ির মহিলারাও এই চাষ করে লক্ষাধিক টাকা অর্জন করতে পারেন।
আরও পড়ুন:Composting Cow Dung: কিভাবে গোবর থেকে জৈব সার বানাবেন? শিখে নিন পদ্ধতি
ভাঙড়ের কুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা পায়েল, ইউটিউব দেখে প্রথম এই পদ্ধতিতে মাছ চাষের কথা জানতে পারেন। সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতি অনুসরণ করে যে মাছ জন্ম নিচ্ছে তার স্বাদও ভীষণ ভালো হয় বলে তিনি জানান।
এই বায়োফ্লক মাছ চাষে সরকারের তরফ থেকেও ভালো মতনই সাহায্য মিলছে। সরকারের আওতাভুক্ত হওয়ায় বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহও বাড়ছে মত্স্য চাষিদের। পায়েল বর্তমানে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের অন্যতম মুখ হিসাবে সারা রাজ্যের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠেছেন।
নিজের পরিবারকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি, এই চাষের থেকে অতিরিক্ত আয় স্বভাবতই খুশি রেখেছে পায়েল ও তার পরিবারকে।
আরও পড়ুন:Brinjal Farming: বেগুন চাষ পদ্ধতি ও বর্ষায় রোগবালাইয়ের প্রতিকার