কৃষিকে লাভজনক করতে দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলেছেন। উন্নত মানের বীজ, সার ও কীটনাশক তৈরির পাশাপাশি উন্নত মানের কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি করা হচ্ছে । এসবের মধ্যে প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে যাতে খরচ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো যায়। অন্যদিকে কৃষির প্রথাগত পদ্ধতির বাইরে কৃষিকে কি করে লাভজনক করে তোলা যায় সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।
জব্বলপুরের এক তরুণ বছরের পর বছর ধরে কৃষির নতুন পদ্ধতির বিকাশে নিযুক্ত রয়েছেন। এবার তিনি বপনের কাজে ড্রোন ব্যবহার করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। অভিনব ঠাকুর তার প্রযুক্তি দিয়ে উত্তরপ্রদেশেও শহরের নাম আলোকিত করেছেন।
আরও পড়ুনঃ 2021-এর সেরা: প্রগতিশীল কৃষক, যাদের অভিনব চাষ পদ্ধতি তাঁদের পৌঁছে দিয়েছে শীর্ষে
ট্রাক্টর এর সাহায্যে জমিতে বিজ বপন করার ধরন বদলেছে ধীরে ধীরে এবং আগামী সময়ে ড্রোনের সাহায্যে জমিতে বীজ বপন করা হবে। অভিনব, যিনি জবলপুরের মাধোতাল এলাকায় থাকেন, তিনি একটি ড্রোন তৈরি করেছেন যেটা ৩০ কেজি পর্যন্ত ওজন তুলতে পারে। ড্রোনে একটি ট্যাঙ্ক লাগিয়েছেন যাতে ধান বা গমের বীজ ভর্তি করা হয় এবং তারপরে জমিতে বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হয় ।
অভিনব জানান, ইউপির বেশির ভাগ জেলায় ধান কাটার পর ঠাণ্ডা হাওয়া আসে, যার কারণে মাঠ শুকায় না এবং ট্রাক্টর সিড ড্রিল দিয়ে গম বপন করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ জন্য গমের বীজ স্প্রে করা হয়, এতেও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরে, তিনি তার ড্রোনটি তৈরি করেছেন । যাতে ট্যাঙ্কের নীচে সিডড্রিলের মতো ছিদ্রযুক্ত একটি ফানেল স্থাপন করা হয় এবং এর মাধ্যমে বীজটি নীচে পড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ এই গাছের চাহিদা রয়েছে অনেক , এক হেক্টর চাষ করলে আয় হবে ৭ লাখ টাকা!
এই প্রদর্শনী চলাকালীন শত শত কৃষক এবং কৃষি বিজ্ঞানীও মাঠে উপস্থিত ছিলেন। যারা এটিকে কৃষির ভবিষ্যত বলে উল্ল্য়েখ করেন । এ জন্য কৃষকের ড্রোন চালানোর জ্ঞান থাকতে হবে, মোবাইল বা ট্যাবলেটে গুগল ম্যাপের সাহায্যে জমির ম্যাপ ফিড করা হয়। যা শুরু করার পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমির এলাকা পরিমাপ করবে।