ভারত কৃষিক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় লিখছে। যেখানে ভারতের কৃষি পণ্যের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েক বছরে দেশের কৃষিপণ্য বিদেশের পছন্দের হয়ে উঠছে। যেখানে বিহারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া মাখানা জাপানে রপ্তানি করা হচ্ছে। এতে কৃষকরা সরাসরি লাভবান হচ্ছেন, পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও চাঙ্গা হচ্ছে। এই বিষয়ে তথ্য শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী শোভা করন্দলাজে ।
তথ্য শেয়ার করে তিনি লিখেছেন যে স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের ছাপ ফেলছে। তিনি বলেন, ভারত সরকার তার প্রচেষ্টার মাধ্যমে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করছে। যার কারণে ভারতের কৃষি লাভজনক হচ্ছে এবং অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। জেনে নিন ভারতের কোন কৃষি পণ্য বিদেশে কোন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
২৩ বছর বয়সী এক ইঞ্জিনিয়ার এই মাখানার হাত ধরেই পৌঁছেছেন উন্নতির শিখরে। ৪ লাখ টাকা নিয়ে শুরু করেন এই মাখানা উৎপাদনের ব্যবসা। ২০২০ সালে বিহারের তরুন গুলফরাজ শুরু করেন মাখানা উৎপাদনের যাত্রা। তিনি এই মাখানের নাম রেখেছেন মোদী ব্র্যান্ড। দুই বছরে দুই কোটিরও বেশি ব্যবসা করে ফেলেছে মোদী ব্র্যান্ডের মাখানা। হচ্ছে বিদেশে রপ্তানিও। ১০ জনকে নিয়ে বেশ সুন্দর ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে বিহারের এই তরুনের মাখানা ব্যবসা।
বিহারের আম-লিচু যুক্তরাজ্যের পছন্দ হয়ে উঠেছে
বিহারে জন্মানো আম - লিচু যুক্তরাজ্যে (ইউকে) বেশ পছন্দের হচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী শোভা কারদাঞ্জলে শেয়ার করা তথ্য অনুযায়ী, ভাগলপুর জর্দালু আম ও শাহি লিচু যুক্তরাজ্যে (ইউকে) রপ্তানি হয়। একই সঙ্গে জারদালু আম বাহরাইনেরও প্রিয়।
দেশটির ড্রাগন ফল যাচ্ছে লন্ডন ও দুবাই
দেশে উৎপাদিত ড্রাগন ফল বিশ্বের দুই ধনী দেশের রাজধানী লন্ডন ও দুবাইতে রপ্তানি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী শোভা করন্দলাজের শেয়ার করা তথ্য অনুযায়ী, গুজরাটে উৎপাদিত ড্রাগন ফল লন্ডনে রপ্তানি করা হচ্ছে, অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে উৎপাদিত ড্রাগন ফল দুবাইতে পাঠানো হচ্ছে।
দেশে তৈরি গুড় দুবাইয়ে
দেশে তৈরি গুড় রপ্তানি হচ্ছে দুবাইতে। যার অধীনে কেরালার বিজনোর এবং ইদুক্কিতে তৈরি গুড় দুবাইয়ে রপ্তানি হয়। একইভাবে হিমাচলের আপেল রপ্তানি হচ্ছে কাতার ও বাহরাইনে। একই সময়ে, উত্তরাখণ্ডের রাগি ডেনমার্কের প্রিয়।
আরও পড়ুনঃ তেলেঙ্গানার প্রথম মহিলা মেকানিক একাই ট্রাকের টায়ার ঠিক করার কাজ করেন