এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 29 May, 2021 4:39 PM IST
Moringa Farming (Image Credit - Google)

পুষ্টি ও ওষুধি গুণাগুণে ভরপুর বারোমাসী সজিনা খুবই জনপ্রিয় সব্জি | বর্তমানে বারোমাসি সজিনার বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে | বাণিজ্যিকভাবে সজিনার বাগান খুব একটা চোখে পড়ে না। আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে সম্প্রতি ফরিদপুরের হাটগোবিন্দপুর এলাকায় পতিত জমিতে সজিনা চাষ করে সফল হয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা খন্দকার খালিদ বিন মোরশেদ।

বীজ বপনের ৬ মাসের মধ্যেই বাজারে সজিনা তুলতে পেরে খুশি তিনি। ১ কেজি সজিনার দাম পেয়েছেন ১২০ টাকা | তার এই চাষ দেখে সজিনা বাগানে কর্মসংস্থান হয়েছে বেকার যুবকদের।

কৃষি দফতরের মতে, সজনে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সব্জি। এটি চাষে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। সজিনা গাছকে বলা হয় পুষ্টির ডিনামাইট। সজিনা গাছের পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। গবেষকরা সজিনার পাতাকে বলে থাকেন নিউট্রিশন্স সুপার ফুড। এটি পুষ্টি ও ওষুধি গুণাগুণের কারণে সবার প্রিয়। তবে বাংলাদেশে এর বাণিজ্যিক চাষ নেই বললেই চলে। এই প্রথম খালিদ সজিনার বাগান গড়ে তাকে লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকে |

সফল চাষীর অনুপ্রেরণা (Farmer Khaled) :

খালিদ নতুন কিছু শুরু করার তাগিদে ইউটিউবের মাধ্যমে বারোমাসী সজিনা চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হন | তারপরেই শুরু করেন সজিনা চাষ। ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বীজ সংগ্রহ করে ৭১ শতাংশ পতিত জমিতে শুরু করেন চাষ। জমি প্রস্তুত করে ৪৮৫টি বীজ বপন করেন। জৈব সার ব্যবহার করে সামান্য পরিচর্যায় বীজ বপনের ৬ মাসেই প্রতিটি গাছে ফুল আসে। বর্তমানে তার বাগানের প্রতিটি গাছে ঝুলছে সজিনা ডাঁটা ও ফুল। গত ২ মাস ধরে নিয়মিত বাজারে বিক্রি করছেন সজিনা। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় খুশি তিনি। এ বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ২ যুবকের। তারাও এখানে কাজ করে লাভবান হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, অনেকেই তার বাগান দেখতে এসেছেন। তার সাফল্য দেখে নতুন বাগান তৈরির আগ্রহও  প্রকাশ করছেন। প্রতিকেজি সজিনা ৫০-৬০ টাকা পাইকারি বিক্রি করছেন তিনি। বাজারে এখন ১ কেজি সজিনা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। ১০০ শতাংশ জমি থেকে বছরে ২০-৩০ টন সজিনা উৎপাদন সম্ভব। বাগানের পরিচর্যা ও লেবারের বেতনসহ তার মাসে ১২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। প্রথম বছরেই  তিনি পেয়েছেন  সাফল্য |

সাধারণত, আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে মালচিং পদ্ধতিতে (mulching method) এই  ফসলের বারোমাস চাষ সম্ভব | এই চাষ বাণিজ্যিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । বহু গুণের অধিকারী সজিনা বাতজ্বরের চিকিৎসায় ভূমিকা রাখে। এ ছাড়াও পোকামাকড় কামড়ালে অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে সজিনার পাতার রস। হৃদরোগ, রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি, শ্বেত, টাইফয়েড, প্যারালাইসিস, লিভার, ত্বক ও চোখের রোগ প্রতিরোধ করে। তাই বাজারে সারাবছরই সজিনার চাহিদা থাকে তুঙ্গে |

আরও পড়ুন - মালটা ফলের চাষ করে আজ সাফল্যের পথে কৃষক সুনীল বরন তালুকদা

তরুণ এই কৃষকের অভাবনীয় সাফল্যে অনেকেই উৎসাহ পেয়েছেন | কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, সজিনা একটি ম্যাজিক ফসল, তাই এই চাষে (Moringa farming) কৃষকরা নিতান্তই লাভবান হতে পারেন |

নিবন্ধ: রায়না ঘোষ

আরও পড়ুন - Banana farming, agri-textile bag: এগ্রি টেক্সটাইল ব্যাগেই দাগহীন কলা চাষে অভাবনীয় সাফল্য

English Summary: Moringa Cultivation: Farmer Khalid has got huge success in moringa cultivation
Published on: 29 May 2021, 04:39 IST