এমন অনেক গাছপালা আছে, যেগুলো চাষ করে কয়েক মাসেই ধনী হওয়া যায়। হ্যাঁ, এমন অনেক ঔষধি গাছ আছে, যেগুলোর চাষ চাষিদের জন্য খুবই উপকারী।
এর মধ্যে একটি হল পুদিনা চাষ, যা পেপারমেন্ট নামে পরিচিত। আয়ুর্বেদে পুদিনায় পাওয়া তেলের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। এটি অনেক রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর আয়ুর্বেদিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বাজারে এর চাহিদা বেশি, তাই এর চাষ খুবই লাভজনক। উত্তরপ্রদেশের জেলায় পুদিনা চাষের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেখানে কৃষকরা ব্যাপক হারে পুদিনা চাষ করে ভালো লাভ করছেন। এর চাষের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল কৃষকরা 90 দিনেরও বেশি সময়ে প্রস্তুত হওয়া এই ফসলে অল্প সময়ের মধ্যেই লাভ করতে পারে।
পুদিনা চাষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস
-
কৃষকরা জানান, পুদিনা চাষের জন্য জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে বেহন বসানো হয়।
-
এর পরে ফসল রোপণ করা হয়।
-
জুলাই মাসে এর ফসল কাটা হয়।
-
পেপারমিন্ট বা পুদিনা চাষকারী কৃষকরা সঠিক জাত বপন করলে তাদের লাভ আরও বাড়তে পারে।
-
রাজ্যের অনেক বেসরকারি সংস্থাও কৃষকদের পুদিনা চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। তিনি পুদিনার অনেক উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। একই সঙ্গে কতিপয় সংগঠন কৃষকদের জানাচ্ছেন কীভাবে কম খরচে বেশি উৎপাদন করা যায়।
আরও পড়ুনঃ এই গরমেও চাষ করুন এই জাতের ফুলকপি, হবে লক্ষ্মীলাভ
জেলার চাষিরা বলছেন, পুদিনার দাম কেজিপ্রতি ৯৮০ টাকা হলেও চাহিদা বাড়তে থাকায় বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা কেজি দরে। একই সঙ্গে কৃষকরা জানান, এক বিঘায় পুদিনা চাষে প্রায় ৪০ কেজি পুদিনা তৈরি হয়।
অনেক রাজ্যে রপ্তানি
পুদিনা দেশের অনেক রাজ্য যেমন কানপুর, নয়ডা, কলকাতা এবং মধ্যপ্রদেশ এবং অন্যান্য অনেক জেলায় রপ্তানি করা হয়। পুদিনা ওষুধ থেকে ব্যবহার করা হয় এবং অনেক সৌন্দর্য পণ্যেও ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুনঃ লাউ চাষ গ্রীষ্মে কৃষকদের জন্য আয়ের দরজা খুলে দেবে