কৃষিজাগরন ডেস্কঃ পাঞ্জাবের পাঠানকোটের জংলা গ্রামের বাসিন্দা রমন সালারিয়া বহু বছর ধরে ড্রাগন ফল চাষ ভাল লাভ করছেন। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করার পর, তাঁর গ্রামে ফিরে আসেন এবং ড্রাগন চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন।
রমন মাত্র ৬ লক্ষ টাকা দিয়ে ড্রাগন ফল চাষ শুরু করেছিলেন এবং বর্তমানে তিনি ১ একর জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করে প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয় করছেন।
আরও পড়ুনঃ হারিয়েছেন চাকরি! ডুমুর চাষ করে ১০লক্ষ আয় করলেন এই কৃষক
তিনি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র, পাঠানকোটের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত পরামর্শ নিয়ে ড্রাগন চাষ করার সিদ্ধান নেন।কতটা পরিমানে সার প্রয়োগ করতে হবে,কিভাবে চাষ করতে হবে তার জন্য তিনি কৃষি বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিয়েছিলেন এবং আশানুরুপ ফলও পেয়েছেন।
তিনি তার দেড় একর জমিতে ২৮০০টি চারা রোপণ করেন এবং প্রায় ১৭ কুইন্টাল ফসল উৎপাদন করেন। এরপর ড্রাগন ফল আন্তঃফসল করে বেশি আয়ের চিন্তা করেন। পাঞ্জাব এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি , লুধিয়ানা থেকে তথ্য পাওয়ার পর, তিনি কান্দা (জাফরি জাতের) ড্রাগন চাষের সাথে আন্তঃফসল করেন , যার ফলে তিনি প্রতি একর ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন।
আরও পড়ুনঃ ২০০ টাকা কেজি! কালো আলু চাষ করে তাক লাগালেন এই কৃষক
রমন নিজে ফল বাজারজাত করেন এবং গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী তাজা ও এ গ্রেডের ফল সরবরাহ করেন। বর্তমানে ড্রাগন ফল চাষ থেকে তিনি বার্ষিক ১৬ লক্ষ টাকা আয় করছেন। তিনি টানেল কৌশলে তরমুজ চাষও শুরু করেছেন। এই কৌশলটি গাছের চারপাশের তাপমাত্রা বাড়ায় , যার কারণে উদ্ভিদ আরও ভালভাবে বিকাশ লাভ করে।
বর্তমানে রমন সালারিয়া লাভজনক চাষের পাশাপাশি ড্রিপ ইরিগেশন , সোলার ওয়াটার পাম্পিং ইত্যাদি কৌশল অবলম্বন করে পরিবেশ ও ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণে অবদান রাখছেন । তিনি পাঠানকোটের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। মার্চ মাসে, বাটিন্ডায় অনুষ্ঠিত কিষাণ মেলায় তিনি পাঞ্জাব স্তরে প্রগতিশীল কৃষক হিসাবে সম্মানিত হন। জেলার কৃষক ও যুব সমাজের কাছে তিনি দৃষ্টান্ত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।