এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 17 July, 2021 9:06 PM IST
Success Story of Pampa Naskar

পরিশ্রম আর শেখার ইচ্ছা কখনো বৃথা যায় না। বর্তমানে এই প্রবাদ বাক্যের সবথেকে বড় উদাহরণ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসন্তী অঞ্চলের পম্পা নস্কর। একসময়ের অর্থাভাবকে নিজের চেষ্টা আর অধ্যাবসায়ে বদলে বর্তমানে সুখের হদিশ পেয়েছেন কৃষক পরিবারের এই বধূ। মাত্র কয়েক হাজার টাকা উপার্জন করতে গিয়ে তাঁকে নিজের জমির পিছনে খাটতে হতো বছরভর। আর এখন, বছরে লাখখানেক টাকা উপার্জন করা তাঁর পক্ষে কোনও ব্যাপারই না। কৃষি দফতরের আতমা প্রকল্প (এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি) তাঁর জীবন ম্যাজিকের মতন বদলে দিয়েছে।

একটা সময় গেছে, যখন যথেষ্ট চাষযোগ্য জমি থাকা সত্ত্বেও অল্প সামান্য জমিতে চাষাবাদ করে কাটছিল তাঁর। দিনের পর দিন আর্থিক অনিশ্চয়তা গ্রাস করছিল তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে। অশেষ দুঃখ শেষমেশ সামলাতে না পেরে ব্লকের কৃষিবিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। এরপরই পম্পার জীবনে মোড় আসে। সরকারি 'আতমা' প্রকল্পের আওতাভুক্ত হন তিনি। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কৃষি আধিকারিকদের কথা মেনে, পুরোনো পদ্ধতিতে চাষাবাদ ছেড়ে আধুনিক কৃষিকাজের পদ্ধতি শিখতে থাকেন তিনি। সঠিক প্রশিক্ষণ নিতেও ভোলেন না। সরকারের থেকে পরে তাঁর জন্য ভালো মানের বীজ, উন্নত সার ছাড়াও অন্যান্য উপকরণেরও ব্যবস্থা করা হয়। একদম নতুন করে আবার চাষাবাদ শুরু করেন পম্পা।

পরিশ্রমের ফল হাতেনাতে মিলতে শুরু করে গতবছর থেকেই। যেখানে আগে বছরে চাষ করে ৪০ থেকে ৫০ হাজারের বেশি আয় হতো না, সেখানে আধুনিক নিয়ম মেনে ও বুদ্ধিদীপ্ততার সঙ্গে চাষ করে পম্পার আয় বছরে এক লক্ষ টাকার গন্ডি পেরিয়েছে। এই একবছরে পম্পা সমগ্র আয় ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ছুঁয়েছে। 'আতমা' প্রকল্পের আওতায় এসে সরকারের থেকে দশ রকমের শস্যবীজ পাওয়া থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ লাভ, সবকিছুকেই ঈশ্বরের পরম আশীর্বাদ বলে মনে করছেন পম্পা। সরকারের এই কল্পতরু রূপকেও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি বাসন্তীর এই কৃষক গৃহবধূ।

আরও পড়ুন: Azolla Cultivation - অ্যাজোলা কীভাবে চাষ করবেন কৃষকবন্ধুরা? জেনে নিন এই প্রাণীখাদ্য চাষের উপায়

আতমা প্রকল্পের সাহায্যে পম্পার জীবনে যেইভাবে বাঁক এসেছে, তাতে পম্পা খুবই খুশি। দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে আগে যে আর্থিক অসঙ্গতি ছিল, তা তো দূর হয়েছেই সঙ্গে খেটে খাওয়া কৃষিজীবী মানুষদের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠেছেন পম্পা নস্কর। কৃষিবিভাগের মতে পম্পার এই সাফল্য অনেকেই জীবনেই প্রেরণা জোগাবে। সরল সাধাসিধে পম্পা অবশ্য এত কিছু বোঝেন না। তিনি তাঁর সাধের চাষবাস আরও ভালো উপায়ে করতে পেরেই খুশি!

আরও পড়ুন: Periwinkle Flower Farming: জুলাই মাসে রোপণ করুন নয়নতারা ফুল

English Summary: Success Story of Pampa Naskar by ATMA Scheme
Published on: 17 July 2021, 07:00 IST