নারীরা পারে না এমন কোনো কাজ নেই । শুধু দরকার মনের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি। তেমনই কিছু তেলেঙ্গানার ইয়েদালপল্লি আদিলক্ষ্মীর গল্প। আজ একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে । আসলে আদিলক্ষ্মী পেশায় একজন মেকানিক। যা সম্পূর্ণরূপে পুরুষের কাজ বলে মনে করা হয়। এই কাজে নিজের ছাপ ফেলতে তাকে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
তেলেঙ্গানার ভদ্রদি কোথাগুডেম গ্রামের বাসিন্দা আদিলক্ষ্মী, ৩১, টায়ার মেরামতের কাজ করেন । প্রথমদিকে এই মহিলার কাছে টায়ার মেরামত করতে মানুষ দ্বিধায় ছিল । কিন্তু এখন সে তার কাজের কারণে সারা তেলেঙ্গানা জুড়ে একজন বিখ্যাত মেকানিক হয়ে উঠেছে । আদিলক্ষ্মী, যিনি কোঠাগুডেম শহরের কাছে সুজাতা নগরে একটি ছোট গ্যারেজ চালান, তিনি মোটরসাইকেলের পাশাপাশি গাড়ি এবং ট্রাক্টর, ট্রাকের টায়ার মেরামতের কাজ করেন।
আরও পড়ুনঃ তামিলনাডুর প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে জানুন
দুই সন্তানের জননী আদিলক্ষ্মী তার স্বামী ভদ্রমের অটোমোবাইল দোকান থেকে টায়ার মেরামত শুরু করেন। গত পাঁচ বছরে সে এই কাজে পুরোপুরি পারদর্শী হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে আদিলক্ষ্মী যখন ট্রাকের ভারী টায়ার পরিবর্তন করেন তখন মানুষ অবাক হয়। মহিলা মেকানিক বলেন, প্রথম দিকে তিনি যখন দোকানে বসতেন, লোকজন তাকে দেখে ফিরে যেত।যার কারণে তিনি খুব হতাশ বোধ করতেন। আসলে, যখনই তার স্বামী কাজের সূত্রে টায়ার ঠিক করতে বাইরে যেতেন, তখনই তিনি দোকানে বসতেন। কিন্তু দোকানে মহিলাকে দেখে অনেক খদ্দের ফিরে যেতেন। এইভাবে কাজ ফিরে দেখে আদিলক্ষ্মী মনে মনে খুব হতাশ হলেন। এমতাবস্থায় তিনি টায়ার ভরাটের মতো ছোটখাটো কাজ দিয়ে শুরু করেন। আগ্রহ বাড়ার সাথে সাথে তার আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে এবং সে তার স্বামীকে পাংচার করতে সাহায্য করতে থাকে। তিনি বলেন যে প্রথম দিকে চারটি পাংচার ঠিক করার পর তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়তেন। কিন্তু এখন সে একদিনে অনেক পাংচার সারতে পারে।