কেরালার বাসিন্দা সোসাম্মা আইপে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির গরু সংরক্ষনের কাজে নিয়োজিত । তিনি প্রায় ত্রিশ বছর ধরে এই বিলুপ্ত প্রায় গরু সংরক্ষনের কাজটি করছেন । আসলে, এটি একটি দেশি জাতের গরু ভেচুর। যা দেখতে খুবই ছোট কিন্তু এই গরু থেকে প্রচুর পরিমাণে দুধ পাওয়া যায়। সেই সাথে এই ভেচুর গরুর দুধ ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। অথচ এই গরুর রক্ষণাবেক্ষণ ও পশুখাদ্যের জন্য খুব কম খরচ হয়। এত বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও এই গরু বিলুপ্তির পথে।
এমন পরিস্থিতিতে ১৯৮০ সালে এই গরুগুলোকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন চিকিৎসক সোসাম্মা। আশির দশকে এসব গরু প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।এমতাবস্থায় সোসাম্মা এই গরুগুলোকে বাঁচানোকে তার প্রথামিক কর্তব্য় বানিয়ে ফেলেন। ত্রিশ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর সোসাম্মা এই গরুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছেন। একই সঙ্গে সোসাম্মা আইপ পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চম চেষ্টায় UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, এমনই হরিয়ানার মেয়ের গল্প!
সোসাম্মা উল্লেখ করেছেন যে ১৯৬০-এর দশকে, কেরালার রাজ্য সরকার দুধের উৎপাদন বাড়াতে তার গবাদি পশুর প্রজনন নীতি পরিবর্তন করেছিল। এরপর বিদেশি জাতের সঙ্গে দেশি গবাদি পশুর ক্রস ব্রিডিং শুরু হয় ব্যাপক হারে। এ কারণে দেশি গরু ভেচুর সংখ্যা কমতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ তিন চাকরিজীবী বন্ধু মিলে জৈব চাষ শুরু করে, এখন কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে তারা
এরপর সোসাম্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একসঙ্গে এটি সংরক্ষণের কাজ শুরু করেন। অনেক গবেষণার পর তিনি প্রথম ভেচুর গরুর সন্ধান পান। এরপর ধীরে ধীরে অনেক গরু পেয়েছেন। এসব গরুর পরিচর্যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ৬৫ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য় পেয়েছেন । এক বছরে সোসাম্মার দল প্রায় ২৪টি গরু সংগ্রহ করে। তার প্রধান কাজ ছিল এসব গরু সংরক্ষণ ও প্রজনন করা। এই যাত্রার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার পর সোসাম্মা ভেচুর সুরক্ষা ট্রাস্টও গঠন করেন।