শীতকাল মানেই প্রকৃতিতে সবুজের মেলা। মাঠে ঘাটে রংবেরং সব্জি এবং ফুলের আনাগোনা। আর শীতের আমাজে অন্যতম প্রধান শাকসব্জি বাঁধাকপি আর ফুলকপি। শীতের খাদ্য তালিকায় বাঁধাকপি কিংবা ফুলকপির উপস্থিতি থাকা চাই। তাই এই এক ঘেয়েমি ব্যাপারে নতুনত্বের ছোঁয়া নিয়ে এল কমলা, হলুদ, বেগুনি রঙের ফুলকপি আর বেগুনি রঙের বাঁধাকপি। হ্যাঁ একদমই ঠিক দেখছেন বাংলার বাজারে এবার তাক লাগাতে এল রং বেরং এর ফুলকপি আর বাঁধাকপি। এমনকি বঙ্গবাসী পাচ্ছেন টাটকা সব্জি। কারণ এই রঙিন সব্জির চাষ হচ্ছে দুর্গাপুরের মাটিতে।
শিল্পশহরের জমিতেই এই সব্জির চাষ করছেন স্টিল টাউনশিপের কৃষক অভিজিৎ চক্রবর্তী। দুর্গাপুরের এক শস্যবীজ বিক্রেতা তাঁকে এই অভিনব ফসলের চাষের কথা বলেন। অভিজিৎ তাঁর কথা মতো দেড় হাজার হলুদ ফুলকপি, একহাজার কমলা রঙের ফুলকপি, তিন হাজার বেগুনি বাঁধাকপি চাষ করেন। দু মাস আগেই লাগিয়েছিলেন চারা আর তারপরই বাজিমাত কৃষকের। এখন দুর্গাপুরের বাজারে এই রঙিন বাঁধাকপি আর ফুলকপির চাহিদা তুঙ্গে। সকলের আকর্ষণ এখন এই সব্জি। দাম আকাশ ছোঁয়া হলেও জনজীবন বরাবর ছোটেন নতুনত্বের পেছনে তাই এই ক্ষেত্রেও তার বিকল্প হয়নি।
আরও পড়ুনঃ লাল চন্দন: লাল চন্দন চাষে লাখ নয়, কোটি কোটি লাভ, জানুন কীভাবে বড় করবেন এই দুর্লভ গাছ
অভিজিৎ চক্রবর্তী জানান পাইকারি বাজারে সেরকম লাভ না হলেও খুচরো বাজারে বেশ লাভ হচ্ছে। আরও জানান এই রঙিন ফুলকপি এবং বাঁধাকপি উৎপাদনের খরচ সাধারণ ফুলকপি এবং বাঁধাকপির তুলনায় দ্বিগুন। এক একটি ফুলকপির পেছনে খরচ ১০ টাকা। তাই দামের অঙ্কও অনেক বেশি। বাজারে এই ফুলকপি প্রতি পিস হিসেবে ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বাঁধাকপি ২০-৩০ টাকায়। বাজারে বর্তমানে এই সব্জির চাহিদা এতটাই বেশি যে তিনি সমস্ত বাজারে পাঠাতে পারছেন না। ক্রেতারা যে শুধু এই রঙিন ফুলকপি কিনছেন তা নয় কোন জমিতে চাষ হচ্ছে এবং কোন কৃষক ফলাচ্ছেন সেটি দেখতে অভিজিৎ চক্রবর্তীর বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ তিল চাষঃ তিল চাষ করে লাভের মুখ দেখছে কৃষকরা, রইল চাষ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য