কৃষিজাগরন ডেস্কঃ কনৌজ জেলায় খরা ও বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কৃষকদের কষ্ট কমছে না। কৃষকরা আলু নিয়ে আশাবাদী হলেও আবারও লোকসানের মুখে পড়েছেন। বীজ শোধনের জন্য কেনা ওষুধে ক্ষতি হয়েছে এবং জমিতে আলু জন্মেনি।১০০০ বিঘার বেশি জমিতে আলু না চাষে কৃষকদের প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে কর্মকর্তাদের তদন্তে খরচ ও এলাকা আরও বাড়তে পারে।
ব্লক সদর এলাকার রামপুর মুদেরি কাজিম হোসেন গ্রামের বাসিন্দা রাজু সাক্সেনা এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে জানান, প্রায় ২০ দিন আগে তিনি আড়াই বিঘা জমিতে আলুর বীজ বপন করেছিলেন । এখন পর্যন্ত মাটির বাইরে দুর্গটি ফুটেনি।এতে গ্রামের প্রায় ২০০ বিঘা ফসলের ক্ষতি হয়েছে। রাজু যুক্তি দেন যে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে ১৬০০ বিঘা ফসলের ক্ষতি হত।
আরও পড়ুনঃ লঙ্কা চাষে লক্ষী লাভ,ধনী হচ্ছেন চাষিরা
কৃষকরা।মণিমাউয়ের দোকানদার আট হাজার বস্তা আলুর বীজে ব্যবহৃত ৮০ লিটার ওষুধ বিক্রি করেছেন। এক বিঘা জমিতে পাঁচ থেকে ছয় ব্যাগ বীজ আলু ব্যবহার করা হয়। রাজু বলেন, রামপুর মুডেরি রাজা, গুখরু, কাপুরপুর, নেরা, বাঁশরামউ, তিখওয়া, ঈশ্বপুর, জুরাখানপুরা ও দন্ডৌরখুর্দ প্রভৃতি গ্রামের অনেক কৃষক ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহার করেছেন।
কৃষক প্রেমচন্দ্র জানান, তিন বিঘা জমিতে আলু না গজায় ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। হরিশরণ জানান, সাড়ে আট বিঘায় ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। জেলা কৃষি আধিকারিক আভেশ সিং জানান, চার-পাঁচজন কৃষক অফিসে এসেছিলেন। তিনি আলু চাষ না হওয়ার অভিযোগ করেছেন। তিনি গ্রামে তদন্ত করতে যাচ্ছেন। লিখিত অভিযোগ, ওষুধ কেনার বিল দিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ এবার গ্লাইফোসেট ব্যবহারে বিধি নিষেধ
পেরিয়ে গেলেও কেল্লা দেখা যায়নি, জুরাখানপুরের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী অজিত কুমার জানান, ১৫ অক্টোবর তিনি বীজ শোধনের ওষুধ প্রয়োগ করে ২৫ বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছিলেন। ১১০ বস্তা আলু বীজ, ৫০ বস্তা সার এবং কঠোর পরিশ্রম নিয়েছিলেন, কিন্তু মাটির বাইরেও দুর্গটি বিস্ফোরিত হয়নি। ১২ থেকে ১৩ দিনে কিল্লা আসে, কিন্তু ২২ দিন পরেও দুর্গ আসেনি।
কাজিম হোসেন গ্রামের বাসিন্দা কমলেশ কাটিয়ার (৪৮) জানান, তিনি প্রায় ২৮ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন।মণিমাউ থেকে কেনা ওষুধ ক্ষতিকর, যারা ওষুধ ব্যবহার করেননি, তাদের ফসল বের হয়েছে।
পান ঈশ্বরপুরের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র কুমার (৪০) জানান, তাঁর বাবা অখিলেশ কুমার প্রায় ৭০ বিঘা জমিতে আলু চাষের জন্য প্রায় আট লাখ টাকা খরচ করেছেন। আলু গবেষণায় ব্যবহৃত শিশির ওষুধ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টি বিবেচনা করা। কৃষকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।