কৃষিকাজে মহিলাদের সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। তা সত্ত্বেও কৃষির সঙ্গে সর্বদায় পুরুষের নাম নেওয়া হত। তবে বর্তমানে পরিবর্তনের হাত ধরে কৃষি ক্ষেত্রেও নারীরা সামনে থেকে কাজ করতে এগিয়ে এসেছেন। বহু নারী ইতিমধ্যেই কৃষি কাজে ইতিহাস রচনা করেছেন। দেশের প্রতিটি কোনে স্বাবলম্বী হওয়ার ইতিহাস রচনা করতে এসেছেন মহিলা কৃষকরা।
এবার সেই কাহিনীতে নতুন পালক জুড়তে এগিয়ে এলেন হাওড়ার কিছু মহিলা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাহায্যে ৮ জন মহিলা মিলে শুরু করেছেন মাশরুম চাষ। প্রথমে সরকারের সাহায্য নিয়ে অল্প পরিসরে এই চাষ শুরু করেন তাঁরা। বছর ঘুরতেই সেই চাষে লাভের মুখ দেখেছেন এই মহিলারা। ইতিমধ্যেই তাঁদের খামারের মাশরুম বেশ প্রচলিত ওই এলাকায়। বাড়ির সামনে এত তাজা এবং স্বাস্থ্যকর মাশরুম পেয়ে বেশ খুশি এলাকাবাসী।
নিউজ ১৮ সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী এই গোষ্ঠীর মহিলারা ঠিক করেছেন এই বছর ফলনের পরিমান বাড়াবেন। গত বছরের তুলনায় তাঁরা এই বছর আরও বেশি ফলনের আশায় রয়েছে। মহিলারা জানান, এক প্যাকেট বল থেকে তিনবার ফসল ফলানো যায়। পাশাপাশি তাঁরা জানায় এক বছর প্রশিক্ষন নিয়েছিলেন মাশরুম চাষের তারপর মাঠে নামেন। এখন তাঁদের কাছ থেকে অনেকেই বল নিয়ে যান চাষের জন্য ।
আরও পড়ুনঃ Mushroom Cultivation: শিখে নিন বাড়িতে মাশরুম চাষের দুর্দান্ত পদ্ধতি
মাশরুম চাষে যে বিষয়গুলির উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন তা হল পাটাতন সরাসরি সূর্যের আলো বা বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে । ঠিক সময়ে পরিমিত মাত্রায় স্তূপে জল প্রয়োগ করতে হবে, বাড়তি জল যাতে না হয় খেয়াল রাখতে হবে। স্তূপের তলায় কোনও মতেই জল জমতে দেওয়া যাবেনা। যথাসময়ে পলিথিন চাদর ঢাকা দিয়ে তুলে নিতে হবে । একটি স্তূপে ১৪ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সর্বাধিক ফলন পাওয়া যায়। বিরতির পর আবার অল্প হারে ফলন পাওয়া গেলেও কোনও অবস্থাতেই একমাসের বেশি কোনও স্তূপে রাখা উচিত নয়। পুরনো স্তূপের খড় কম্পোষ্ট পিটের গর্তে ফেলে দিয়ে আবার নতুন স্তূপ তৈরি করা হয়। তাই একসঙ্গে মাশরুম ও কম্পোষ্ট দুইই উৎপন্ন হয়।