দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ। সবুজ মাঠে অপরূপ সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে হলুদ রঙের ফুলের সমারোহ। তার মধ্যে থেকে উঁকি দিচ্ছে গাঢ় সবুজ রঙের ‘উচ্ছে’। এমন দৃশ্য ফুটে উঠছে রাজ্য়ের উচ্ছে ক্ষেতগুলিতে । উচ্ছে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজ্য়ের কৃষকরা।
ঝাড়গ্রামের উচ্ছে প্রতি মৌসুমে বিক্রি হচ্ছে হেক্টর প্রতি ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার ওপরে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটলে এই জেলা হবে অর্থনীতি উন্নয়নের একটি মাইলফলক। কৃষি অফিসও এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ধান ক্ষেতে অ্যাজোলা তৈরির পদ্ধতি
দেখা যায়, ঝাড়গ্রাম জেলায় চলতি মৌসুমে উচ্ছে চাষ হয়েছে ১০০০ হেক্টর জমিতে। উচ্ছে তোলার সময় চাষিদের মধ্যে একধরনের উৎসব বিরাজ করে। প্রতিদিন সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার গ্রামে গ্রামে হাট বসে। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারেরা এসব উচ্ছে কিনে নিয়ে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করেন। তবে গেল সপ্তাহে উচ্ছের দাম কমেছে। এখন চাষিরা কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা উচ্ছে বিক্রি করছেন। ফলে চাষিদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।
উচ্ছেচাষি আলম গিরি বলেন, ‘এবার জমিতে উচ্ছেসহ পেঁয়াজ চাষ করেছি। সপ্তাহ খানেক আগেও প্রতি কেজি উচ্ছে বিক্রি করেছি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে তার অর্ধেক দামে। যে কারণে যতটা লাভ হওয়ার কথা ছিল, তার অর্ধেকও হবে না।
ঝাড়গ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বলেন, ‘ প্রধানত দুটি মৌসুমে উচ্ছে চাষ করা হয়। বর্তমানে প্রায় ১০০০ হেক্টর জমিতে উচ্ছে চাষ করেছেন চাষিরা। ভবিষ্যতে উচ্ছের চাষাবাদ বাড়াতে সার, কীটনাশকসহ চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। উচ্ছে চাষে সরকারি প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।’