কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ড্রিপ ইরিগেশন এমন একটি ব্যবস্থা যার দ্বারা খুব অল্প পরিমাণ জল দিয়ে পুরো জমিতে সেচ দেওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে সেচের প্রয়োজন অনুযায়ী জল ব্যবহার করা হয় এবং জলের অপচয় থেকেও বাঁচা যায়। তো চলুন জেনে নিই এটা কত প্রকার।
মাইক্রো-স্প্রিঙ্কলার বা মাইক্রো-জেট সেচ
এই ধরনের সেচের ক্ষেত্রে , নির্দিষ্ট চাষের জমিতে ছোট স্প্রিংকলার বা জেট স্থাপন করা হয় , যেখান থেকে জল স্রোতের আকারে বের হয়। এই সেচ পদ্ধতিটি ছোট এলাকায় ব্যবহার করা হয় যেখানে জলের প্রয়োজন সীমিত।
আরও পড়ুনঃ জলের দক্ষ ব্যবহার এবং খরিফ ফসলের উচ্চ ফলনের জন্য পরিকল্পনা
ড্রিপ সেচ
ড্রিপ সেচ পদ্ধতিতে , নির্ধারিত চাষের এলাকায় ধীর গতিতে জলের ফোঁটা নির্গত হয়। এর জন্য , ড্রেন বা পাইপের মাধ্যমে জল বিতরণ করা হয় এবং তারপর নলাকার অংশগুলির মাধ্যমে জল গাছের গোড়াতে পৌঁছায়।
ভূপৃষ্ঠের ড্রিপ সেচ
এই ধরনের সেচের ক্ষেত্রে , মাটির উপরিভাগ থেকে জল উঠে যায় এবং চাষকৃত এলাকায় প্রয়োজনীয় স্তরে ভারী মাটির মাধ্যমে নীচের স্তরের শিকড়ে নিয়ে যায়। এর জন্য,ছিদ্রযুক্ত পাইপ এবং জিনিসপত্র ব্যবহার করা হয়। এই সেচ পদ্ধতি ভূগর্ভস্থ জলের তীব্র পরিধানের জন্য উপযুক্ত।
আরও পড়ুনঃ ক্লোন প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকরা আরও বেশি লাভবান হবে,জানুন কী এই ক্লোন পদ্ধতি
শীর্ষ ফিড ড্রিপ সেচ
এই ধরনের সেচের ক্ষেত্রে , একটি প্রতিরোধী টাইপ ব্যবহার করে গাছের নীচে জলের ফোঁটা নির্গত হয়। এর জন্য , প্রতিটি গাছের কাছে একটি ড্রিপার ব্যবহার করা হয় যা জল বন্টন নিয়ন্ত্রণ করে। এই জাতটি মূলত ছোট-মাঝারি আকারের গাছপালা যেমন ফুল , বাগানের গাছপালা এবং শাক-সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত।
এই পদ্ধতিগুলি ড্রিপ সেচের জন্যও। এছাড়াও, সেচের আরও অনেক পদ্ধতি রয়েছে যা আমরা কৃষিতে ড্রিপ পদ্ধতির চেয়ে বেশি ব্যবহার করি। ভারতে এই ব্যবস্থা কৃষকদের স্তর থেকে অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে। যার কারণে কৃষকরা এই পদ্ধতির পরিবর্তে অন্য উপায় ব্যবহার করছেন। যার কারণে প্রচুর জলের অপচয় হচ্ছে।