করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই জারি বিশ্বব্যাপী৷ ভারতে দু’দফার লকডাউন চলছে এই মহামারীর চেনকে ভেঙে ফেলার জন্য৷ একদিকে যেমন মহামারীকে হারিয়ে বাঁচার লড়াই চলছে অন্যদিকে তেমনই অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকেও ধরে রাখার মরিয়া প্রচেষ্টা চলছে দেশে৷ বিশেষ করে কৃষক থেকে ব্যবসায়ীদের জন্য একাধিক সুযোগ সুবিধার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে এবং সেইমতো কাজও চলছে৷
এই প্যানডেমিক পিরিয়ডে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ওপরও জোর দিচ্ছে সরকার৷ এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা৷ যার মাধ্যমে দেশের অগণিত নাগরিক নিজের উদ্যোগে নতুন করে কিছু শুরু করার কথা ভাবার সাহস পাবে৷
কী এই ‘প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা’?
কেউ যদি লকডাউনের পরে নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে তিনি একবার এই যোজনা সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন৷ ছোটখাটো ব্যবসা বা পুরনো ব্যবসাকে আরও একটু এগিয়ে নিয়ে যেতে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়ার সুবিধা রয়েছে এই যোজনায়৷
প্রসঙ্গত, মোদী সরকার এই প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার সূচণা করেছিলেন আগেই৷ অনেকেই রয়েছেন যারা ব্যাঙ্কের নিয়ম সম্পূর্ণ পালন করতে না পারার জন্য ঋণ বা লোনের সুবিধা পাননি এবং ব্যবসা শুরু করার স্বপ্ন ধাক্কা খেয়েছে৷ তাদের কথা ভেবেই মূলত এই উদ্যোগ নেওয়া হয়৷
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার ভিত্তিতে যে ব্যক্তিদের নাম কোনও কুটির শিল্পের সঙ্গে যু্ক্ত রয়েছে বা যার কাছে পার্টনারশিপের খসড়া বা দলিলপত্র রয়েছে তারা এই লোন নেওয়ার সুযোগ পাবে৷
এই যোজনায় তিন ভাগে ঋণের টাকা দেওয়া হয়ে থাকে৷ সরকার একে শিশু ঋণ, কিশোর ঋণ, তরুণ ঋণ এই তিনভাগে ভাগ করেছে৷
শিশু ঋণ- এই যোজনার ভিত্তিতে কেউ দোকান খোলার জন্য ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন বা ঋণ নিতে পারেন৷
কিশোর ঋণ- এর ভিত্তিতে ঋণের টাকা ৫০,০০০ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হতে পারে৷
তরুণ ঋণ- কোনও ব্যক্তি ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে ইচ্ছুক হলে তাকে তরুণ ঋণের ভিত্তিতে ৫লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হতে পারে৷
মনে রাখতে হবে ছোট ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রেই এই লোনের সুবিধা পাওয়া যাবে৷ কেউ যদি মনে করেন কোনও বড় ব্যবসার জন্য এই লোন নেবেন তা কিন্তু একেবারেই সম্ভব নয়৷ উদাহরণস্বরূপ- ফল বা সবজির দোকান, ট্রাক চালক, মেরামতের দোকান, মেশিন পরিচালনা, ফুড প্রসেসিং ইউনিট, মৎস্যচাষ, পোলট্রি ফার্ম, মূলত এই ধরণের উদ্যোগের জন্য এই যোজনা৷
কোথায় পাবেন এই লোন?
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার ভিত্তিতে কোনও সরকারি ব্যাঙ্ক, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, প্রাইভেট ব্যাঙ্ক বা বিদেশি ব্যাঙ্ক থেকে এই লোনা নেওয়া যেতে পারে৷
জানা যাচ্ছে, ২৭ সরকারি ব্যাঙ্ক, ১৭ প্রাইভেট ব্যাঙ্ক, ৩১ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, ৪ সহকারি ব্যাঙ্ক, ৩৬ মাইক্রো ফিন্যান্স সংস্থা এবং ২৫ টি নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি বা এনবিএফসি-কে এই লোন দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে৷
মুদ্রা কার্ড কী?
মুদ্রা কার্ড হল মুদ্রা লোনা অ্যাকাউন্টের ডেবিট কার্ড৷ এর থেকে যেমন টাকা তোলা যাবে তেমনই এর থেকে জানা যাবে টাকা জমা থেকে তোলার যাবতীয় তথ্য৷ দেশের যে কোননও এটিএম বা মাইক্রো এটিএম-এ এই মুদ্রা কার্ড ব্যবহার করা যাবে৷
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা সম্পর্কে আরও জানতে হলে এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট -এ লগ ইন করুন -
বর্ষা চ্যাটার্জ্জী (barshachatterjee.news@gmail.com)